, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


দেশকে জাহান্নামের সাথে তুলনা: বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি অ্যাটর্নি জেনারেলের

  • আপলোড সময় : ১০-১০-২০২৩ ০৯:৪১:৩৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-১০-২০২৩ ০৯:৪১:৩৩ অপরাহ্ন
দেশকে জাহান্নামের সাথে তুলনা: বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি অ্যাটর্নি জেনারেলের
এবার দেশকে জাহান্নামের সাথে তুলনা করায় বিচারপতির মো. এমদাদুল হক আজাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের কাছে সুপারিশ জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। অ্যাটর্নি জেনারেলের দাবি, উক্ত বিচারপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার ১০ অক্টোবার হাইকোর্টে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বিরোধিতায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদের একক বেঞ্চ। এ সময় আদালত বলেন, দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন।

এদিকে শুনানির শুরুতে আদিলুর-এলানের পক্ষে জামিন শুনানি করতে ডায়াসের সামনে দাঁড়ান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিমও দাঁড়িয়ে যান। তিনি বলেন, আমাদেরও বক্তব্য আছে। তখন হাইকোর্ট বলেন, আসামিদের আইনজীবীদের আগে বলতে দিন। আপনি এখন লাফ দিয়ে উঠছেন কেন?

এরপর আসামিদের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আবারও কথা বলা শুরু করেন। তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় আসামিদের দুই বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানান তিনি।

পরক্ষণে আবারও জামিনের বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম। তখন আদালত উষ্মা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বলেন, তাহলে তাদের ২ বছরের সাজা দিলেন কেন? যাবজ্জীবন দণ্ড দিতে পারলেন না? এক পর্যায়ে আদালত বলেন, দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন।
 
এরপর মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও স্থগিত করা হয়।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ রায় দিয়েছিল।

রায়ের পর আদিলুর রহমান খান বলেছিলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এছাড়া, তাদের আইনজীবী রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে আপিল করবেন বলে জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে, সে সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়নি, এজন্য তারা সন্তুষ্ট নন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস