এবার ফিলিস্তিনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত ইরান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একটি বক্তৃতার পর ইরান ফিলিস্তিনকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছে। তেহরান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক ডোরসা জাব্বারি বলেছেন যে, 'এটা নির্ভর করে তারা কী চাইবে তার ওপর। যতদূর আমরা জানি, এটি মানবিক সহায়তার পরিপ্রেক্ষিতে হবে।'
তিনি বলেন, 'ইরান ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে আর্থিক বা সামরিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে সর্বোচ্চ নেতা উল্লেখ করেছেন যে, ফিলিস্তিনিদের সব ধরনের সহায়তা করা মুসলিম জাতির কর্তব্য।'
এদিকে সমস্ত ফিলিস্তিনিদের এই যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। তিনি বলেন, 'গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে (ইসরায়েলের) সরকার যে ধ্বংসযজ্ঞ ও বর্বরতা চালিয়েছে, তার জন্য ভারী মূল্য দিতে হবে।'
ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৪ হাজার। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৪০ শিশু ও ১২০ জন নারী রয়েছে। শনিবার থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে কমপক্ষে আরও ১৮ জন নিহত এবং ১০০ জন আহত হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় পানি সরবরাহ, খাদ্য, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় তাদের জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। সেখানকার হাসপাতালে থাকা রোগীদের জন্য পণ্য সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি।
এদিকে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, স্বাস্থ্য সুবিধা অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে। শনিবার থেকে হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০০ তে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ২৫০০ ইসরায়েলি।