ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) টিএসসিসিতে নিবন্ধিত সংগঠনগুলোর জন্য কক্ষ বরাদ্দসহ ১০ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে ক্রিয়াশীল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘ইবি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ’ (ঐক্যমঞ্চ)। রবিবার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ টায় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঐক্যমঞ্চ'র আহবায়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- ইবি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ (ঐক্যমঞ্চ) এর জন্য একটি অফিস ও সভা কক্ষ বরাদ্দ, অডিটোরিয়ামের সাউন্ড সিস্টেমের সমস্যা সমাধান এবং মাল্টিমিডিয়া ব্যবস্থা, ক্যাফেটেরিয়া চালুসহ এ সংক্রান্ত অন্য সমস্যা সমাধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বাজেটে সামাজিক সংগঠনগুলোকে যুক্ত করা, টিএসসিসিতে অনুষ্ঠান পরিচালনার অনুমতি প্রদানে হয়রানি বন্ধ করা, টিএসসিসিতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, ওয়াশরুমগুলো উন্মুক্ত ও ব্যবহার উপযোগী করা, সংগঠনগুলোর জন্য অডিটোরিয়াম ও টিএসসিসির কক্ষ ভাড়া ছাড় দেয়া ও বন্ধের দিনেও টিএসসিসিতে অনুষ্ঠান পরিচালনার অনুমতি দেওয়া।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঐক্যমঞ্চ'র অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে আসা পুরনো সংগঠনগুলোসহ ২০টি অধিক সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠনগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননে প্রগতিশীলতার চর্চা, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব গড়ে তোলা, এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ, চাকরির বাজারে যোগ্যতাসম্পন্ন মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ক্যাম্পাসে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত আয়োজন করা হয়ে থাকে সেমিনার বা প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, কিন্তু দুঃখের বিষয় সংগঠনগুলোর নির্দিষ্ট কোনো কক্ষ না থাকায় বিভিন্ন তাদেরকে বাইরে উন্মুক্ত পরিবেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। ফলে কর্মশালাসহ নিয়মিত কর্মসূচি পালনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এর মধ্যে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় রোদ ও বৃষ্টির কারণে বাইরে প্রোগ্রাম করা কষ্ট সাধ্য। কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুকূল পরিবেশ না পাওয়ায় সংগঠনগুলো তাদের গতিশীলতা হারাচ্ছে। অনেক সময় কক্ষের অনুমতি নেওয়ার দীর্ঘ বিড়ম্বনায় অনুষ্ঠান করার সাহস হারাচ্ছে। এছাড়াও নির্দিষ্ট কোনো কক্ষ না থাকায় সংগঠনগুলোর নিজস্ব প্রয়োজনীয় সম্পদ ও দলিলপত্র হারিয়ে ফেলছে।
এছাড়া সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিন থেকে টিএসসিসিতে কক্ষ বরাদ্দের দাবি থাকলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। টিএসসিসির ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণের পর কক্ষগুলো তালা বদ্ধ থাকলেও সংগঠনগুলোকে কোন কক্ষ দেওয়া হচ্ছে না। সংগঠনগুলো তাদের একাডেমিক দিনের পাশাপাশি সদস্যদের একটু বেশি সময় দেওয়ার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস বন্ধের দিন টিএসসিসির নির্দিষ্ট একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে বর্তমান বন্ধের দিনে টিএসসিসিতে কোনো রকম প্রোগ্রাম করার অনুমতি মিলছে না।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, “আমরা বিষয়টি দেখবো। যদি পর্যাপ্ত কক্ষ থাকে বরাদ্দ দিব।”