হঠাৎ ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের শতাধিকের উপর পরিবার। গত বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যার দিকে উপজেলার দাসকান্দি,কর্মকারকান্দি,খালপাড়,যাত্রাপুর,ভেলাবাদসহ চালা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের শতাধিকের উপরে পরিবারের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের দাসকান্দি গ্রামের নার্গিস বেগম জানান, সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে হঠাৎ ঝড় আসলো। আমার চালের টিনের উপর বড় একটা গাছ পড়ে আছে। বিদ্যুতের মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রান্না ঘড়ের চাল উড়ে গেছে। ঘূর্ণি ঝড়ে অসংখ্য বাড়ি ঘর,অসংখ্য গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘূর্ণি ঝড়ের তান্ডবে বিপর্যস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এসব এলাকার বিদ্যুৎতের লাইনে কাজ করতে দেখা গেছে লেছড়াগঞ্জ অভিযোগ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ কর্মীদের। অনেকের বাড়ি ঘর আংশিক এবং কোনটি পুরোপুরি বিনষ্ট হয়েছে। অনেকের ঘরের টিনের চালা ঝড়ে উড়িয়ে কোথায় নিয়ে গেছে এখনও তার কোন সন্ধান মেলেনি। ঝড়ের তান্ডবে ভেঙে গেছে শত শত গাছপালা, বিপর্যস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা। বিভিন্ন শাখা সড়ক আটকে গেছে।
কর্মকারকান্দি গ্রামের জেলে সিদ্দিক জানান, পদ্মানদী থেকে ৪/৫ ফুট পানি সমতলে উঠে আসছিলো। গতকালের ঝড়ে আমার টিনের উপর বিদ্যুতের তার ছিরে পড়ে আছে। আশপাশের অনেক বড় বড় গাছ উপড়ে পরে চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দাসকান্দি গ্রামের সীমা বেগম জানান, আমার টিউবওয়েল উপড়ে ফেলে দিছে, বেশ কয়েকটি গাছ ভেঙে গেছে। পাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না স্থানীয়রা।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহরিয়ার রহমান জানান, গতকাল সন্ধ্যার পূর্বে প্রায় অর্ধ মিনিটের বেশি এক মিনিটের কম সময়ে টর্নেডোর হঠাৎ ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। ডিসি স্যারকে অবগত করেছি গতকাল ই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সার্বক্ষণিক খোজ খবর রাখছি। দেখি কি করা যায়।