এবার প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে আরও শক্তি বাড়িয়ে এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মোখা। ঝড়ের কেন্দ্রে বাড়ছে বাতাসের গতি ও দমকা। আজ শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ঝড় আরও শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। যা দমকা হাওয়াসহ ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশেপাশে সমুদ্র খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। সাগর উত্তাল হবার তিনদিন পর বাতাসের গতি আর মেঘ সঞ্চার করে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় বৃহস্পতিবার ভোরে। রোববার নাগাদ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে এই ঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোর ৬টায় ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার অফিস থেকে বৃহস্পতিবারই বলা হয়েছিল যে, শুক্রবারের মধ্যে অতি প্রবল রূপ নিতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।
সাধারণত লঘুচাপ সৃষ্টি হবার চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে সামুদ্রিক ঝড় উপকূলে আঘাত হানে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রায় ছয়দিন সমুদ্রপৃষ্ঠে অবস্থান করে শক্তি সঞ্চার করবে। যদিও উপকূলের কাছাকাছি এসে কিছু শক্তি হারাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান।