আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন, ভয় দেখান মির্জা ফখরুল। নিষেধাজ্ঞাকে ভয় করলে বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করতে পারতেন না। নিষেধাজ্ঞাকে কেউ ভয় করলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, বাংলাদেশের সোনালী অর্জন সেগুলো হতো না। আমাদের নির্বাচন সংবিধান নির্ধারণ করবে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক মানি না। তত্ত্বাবধায়ক এখন মরা লাশ।”
আজ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় কাদের বলেন, “১৫ বছর আগের বাংলাদেশ, ১৫ বছর পরে বাংলাদেশ, ১৫ বছর আগের এই ঢাকা শহর, ১৫ বছর পরের এই ঢাকা শহর, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আলোতে ঝলমল। কী পরিবর্তন তাকিয়ে দেখুন। আগামী মাসে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেল চলবে। কী অপূর্ব সুন্দর ঢাকা শহর। এই রূপান্তরের রূপান্তর কে? সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিয়েছে কে? আমাদের সাহস, আমাদের স্বপ্নের বর্ণিল ঠিকানা, কে তিনি? শেখ হাসিনা।”
এদিকে গত ২৪ মে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না দেশটি। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে বিধিনিষেধ আরোপের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাদানে দায়ী ও জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন।”
পরে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সতর্কতার সঙ্গে তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনার পর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছি।”তবে কাদের ওপর এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা জানাননি তিনি। এ বিষয়ে ব্রায়ান শিলার জানান, এসব ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম তারা প্রকাশ করবেন না। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভিসাসংক্রান্ত তথ্য গোপনীয় বিষয়।
এদিকে ভিসানীতি কার্যকরের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলে আসছে, তারা ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করে না। দেশে সংবিধান মেনেই নির্বাচন হবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কথাও বলেছেন ক্ষমতাসীন দলের কেউ কেউ।