ঢাকা শহরের রাস্তায় ধারণ ক্ষমতা দুই লাখ যানবাহনের। অথচ সেখানে প্রতিদিন ১৪ লাখ গাড়ি চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে রোবটের মতো দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তারা ঢাকার চাকা সচল রেখে চলেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগে পুলিশ অডিটোরিয়ামে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। শত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যানজট নিরসনে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটি সভ্য ট্রাফিক ব্যবস্থায় চারটি ‘ই’ প্রয়োজন হয়। পুলিশ শুধু ল এনফোরর্সমেন্টের দায়িত্ব পালন করে থাকে। এর পাশাপাশি অ্যাডুকেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইনভারমেন্টের সমন্বয় করতে পারলে ঢাকা শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান। এছাড়া খন্দকার গোলাম ফারুকের কর্মময় ও ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
খন্দকার গোলাম ফারুক ডিএমপির ৩৫তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে গত বছরের ২৯ অক্টোবর যোগদান করেন। ৩২ বছর আট মাস ১০ দিনের চাকরি জীবন শেষে এ পুলিশ কর্মকর্তা ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাভাবিক অবসরে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপপুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।