হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাত্র এক ভোটে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী মামলা করে ভোট পুনর্গণনায় ৫৩৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন। বিজয়ী নূরুল হাসান তপু মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও হবিগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল ভোট গণনার আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের এজলাসেই ভোট পুনর্গণনা করে দেখা যায়, নূরুল হাসান তপু ৫৩৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
বিজয়ী নূরুল হাসান তপু বলেন, ‘আদালত মানুষের শেষ ভরসাস্থল। আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি রায়ে সন্তুষ্ট।’
আইনজীবী মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। ওই নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী নূরুল হাসান তপুকে এক ভোটে পরাজিত দেখানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আদালতে মামলা করেন।’
তিনি বলেন, ‘বিচারক আদালতের এজলাসেই ভোট পুনর্গণনার আদেশ দেন। ভোট গণনা করে দেখা যায়, তপু ইউপি সদস্য পদে ৫৩৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন। মামলার দীর্ঘ ২১ মাস পর আদালতের আদেশে পুনরায় ভোট গণনার মাধ্যমে তিনি জয়ী হন। আদালতের রায়ে ভোট কারচুপির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।’
জানা যায়, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন নূরুল হাসান তপু এবং ইসলাম উদ্দিন। ওই ওয়ার্ডে মোট ভোটার আছেন ২ হাজার ৮২৬ জন। এখানে আপেল প্রতীক নিয়ে ইসলাম উদ্দিন এবং পাখা প্রতীক নিয়ে নূরুল হাসান তপু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট শেষে গণনা করে দেখানো হয় ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ১ হাজার ৮৪ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নূরুল হাসান তপু পেয়েছেন ১ হাজার ৮৩ ভোট। এক ভোটে ইসলাম উদ্দিনকে বিজয়ী দেখানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ঘোষিত ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন নূরুল হাসান তপু।’