এবার হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কম্পিউটার সিস্টেম। গত মঙ্গলবার এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আইসিসি কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কম্পিউটার সিস্টেম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
এদিকে কম্পিউটার সিস্টেম ঠিক করতে গতকাল বৃহস্পতিবারও কার্যক্রম চালিয়েছে আইসিসি। হ্যাকিংয়ের কারণে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে যেসব তথ্য সিস্টেমে জমা ছিল, সেগুলো গায়েব হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তেমনটি হলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হবে আইসিসিকে। তবে এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। কোনো মন্তব্য না করলেও গত মঙ্গলবার হ্যাক হওয়ার বিষয়টি জানায় আইসিসি।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে গত মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। যদিও সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন। এসব তথ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য আইসিসির সিস্টেমে জমা আছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার আইসিসির এই সিস্টেমে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত এই সিস্টেমে রয়েছে ইমেইল ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট আদানপ্রদানের ব্যবস্থা। সেই দিন কোনো তথ্যই দেখতে পারছিলেন না আইসিসির কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানটির দুজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন। বর্তমানে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের মুসলিম বেসামরিকদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে এডওয়ার্ড এনগাইসোনা ও আলফ্রেড ইয়েকাতোম নামে দুই ব্যক্তির বিচার চলছে।
দুজনই দেশটির চরম ডানপন্থী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, এই ভয়াবহ হ্যাকিংয়ের পেছনে এডওয়ার্ড এনগাইসোনা ও আলফ্রেড ইয়েকাতোমের লোকদের হাত রয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁদের আইনজীবী বলেন, ‘যেহেতু আমরা আসামিপক্ষ, কোর্ট সিস্টেমে আমাদের প্রবেশাধিকার খুবই সীমিত।’