এবার ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না আসলে হাইব্রিড মডেলের আসর আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে পিসিবি। ভারতের ম্যাচগুলো হতে পারে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে- এমন প্রস্তাবকে হাইব্রিড মডেল বলা হচ্ছে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছে দেয়া সেই মডেলের বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। এদিকে চলতি রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ভারত টুর্নামেন্টের জন্য পাকিস্তানে ভ্রমণ না করলে হাইব্রিড মডেল বাস্তবায়নে অনড় পিসিবি। সেক্ষেত্রে ভারত নিজেদের ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুবাইতে এ বিষয়ে পিসিবি ও এসিসির কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। বিসিবি এবং এসএলসি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়ানডে ফরম্যাটে হতে চলা এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো খেলতে আপত্তি জানানোর বিষয়টি বৈঠকে উঠে এসেছে। ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে এসেছে, সেপ্টেম্বরে আসরটিতে খেলতে ভ্রমণ সংক্রান্ত জটিলতা এবং সেসময় আমিরাতের তাপমাত্রা অনেকবেশি থাকার বিষয়টি বিসিবি ও এসএলসি সামনে এনেছে, যাকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে খেলতে যেতে না চাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
পিসিবির এক কর্মকর্তার দাবি, বোর্ডের কাছে বিসিবি এবং এসএলসি ই-মেইলে জানিয়েছে, তাদের পাকিস্তানে খেলতে যেতে কোনো সমস্যা নেই। এসএলসির সাধারণ সম্পাদক মোহন ডি সিলভা বলেছেন, ‘আমরা হাইব্রিড মডেলের বিরুদ্ধে তা এসিসিকে চিঠি দিয়ে বলেছি। এর বাইরে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। বছরের ওই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খুব গরম।’
যদিও গতবছর টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া এশিয়া কাপ ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরব আমিরাতেই হয়েছিল। ২০১৮ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে হওয়া টুর্নামেন্টটি ১৫-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাঠে গড়িয়েছিল। তখন গরমের বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা সামনে আসেনি। শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে গতবছর এশিয়া কাপের আসর বসেনি। এসএলসি আয়োজক থাকলেও আরব আমিরাত হয়েছিল ভেন্যু।
এবার মোহন ডি সিলভা বলছেন, ‘যদি শ্রীলঙ্কায় টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো আয়োজনের প্রস্তাব আসে, আমরা তা গ্রহণ করব। পাকিস্তান আসরের অফিসিয়াল আয়োজক থাকবে।’ কিন্তু পিসিবির এক কর্মকর্তা নিজেদের অনড় অবস্থানের কথা পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘হাইব্রিড মডেলে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হলে পাকিস্তান এশিয়া কাপে খেলবে না।’