আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর নাইম শেখ কখনোই ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারেননি। তিন ফরম্যাটে টাইগার জার্সি গায়ে চাপালেও ব্যাট হাতে বরাবরই ব্যর্থ এই বাঁহাতি। তবে সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) ৯৩২ রান করে জাতীয় দলের ফেরার রাস্তাটা তৈরি করেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে তামিম ইকবাল হুট করে সরে দাঁড়ালে দুই ম্যাচ খেলে করতে পেরেছেন যথাক্রমে ৯ ও ০ রান।
এদিকে তামিমের না থাকাতেই এশিয়া কাপে টানা খেলার সুযোগ পেয়ে যান। এখনো পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৪ ম্যাচে তার রান যথাক্রমে ২৩ বলে ১৬, ৩২ বলে ২৮, ২৫ বলে ২০ ও ৪৬ বলে ২১। নাইমের ব্যর্থতা নিয়ে চারদিকে হচ্ছে আলোচনা। সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেও এ নিয়ে কথা বলতে হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন টেকনিক্যালি নয় নাইম পিছিয়ে আছেন মানসিকভাবে।
এবার নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকও শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন। জাতীয় দলের সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার নাইমের হয়ে কথা বললেন। তার মতে যেভাবে সমালোচনা হচ্ছে সেটা কাম্য নয়। তিনি জানান, 'সমালোচনাতো থাকবেই। আপনারাতো সমালোচনার জন্যই আছেন, সমালোচনাতো করবেনই। কিন্তু বুঝলে সমালোচনা করার কথা না। এখন না বুঝে করলে খুব একটা কিছু বলার নাই।'
তিনি বলেন, 'আমার কাছে মনে হয় একটু বেশিই করা হয় (সমালোচনা)। কারণ যারা করছে তারা কিন্তু বাংলাদেশের বাইরের কেউ না। সবাই হয়তো ভালো চায় বাংলাদেশের কোনো না কোনো দিক থেকে। আমার কাছে মনে হচ্ছে সমালোচনার পথটা ভুল। আমি শুনছি তাকে নিয়ে যা-তা বলা হচ্ছে।' নাইমকে দলে অন্তর্ভূক্তির ক্ষেত্রে প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স প্রভাব রেখেছে বলছেন রাজ্জাক।
তার ভাষায়, 'না নেওয়ার মতো তো কোনো কিছু সে করেনি। জাতীয় দলে খেলার মতো কাজই সে করেছে, এখানে সে ক্লিক করতে পারেনি। তার অতীত রেকর্ড যে খুব একটা খারাপ তা না। যখন আন্তর্জাতিক আঙিনায় সে পরিচিত হয়েছে তখন সে এতোটা খারাপ ছিল না। এখন যেরকম খেলছে...একটা সময় সে ভালো সময় কাটিয়েছে প্রিমিয়ার লিগে। এই মুহুর্তে আমরা বা ও যেরকম আশা করছে সেরকম হয়তো হচ্ছে না।'
রাজ্জাক অবশ্য স্বীকার করেছেন খারাপ খেললে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার নিজেই বুঝে যাওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে বাইরে থেকে চাপ না দিয়ে তারই সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিৎ। এমনটাই মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক স্পিনার। তিনি যোগ করেন, 'তার মানে এই না যে ওকে ছুঁড়ে ফেলা হবে, ওর উপর চাপ তৈরি করা হবে। একটা খেলোয়াড় যখন জাতীয় দলে খেলে বা অন্য যেকোন পর্যায়ে খেলে...সে খারাপ খেললে কিন্তু নিজেই বুঝে। এতোভাবে বুঝাই দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।'