, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


মক্কার কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ বাংলাদেশি দুই হাফেজ

  • আপলোড সময় : ০৭-০৯-২০২৩ ১১:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৯-২০২৩ ১১:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন
মক্কার কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ বাংলাদেশি দুই হাফেজ ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত ৪৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতায় পূর্ণ কোরআন হিফজ বিভাগে তৃতীয় হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ, আর চতুর্থ হয়েছেন মো. মুশফিকুর রহমান।
স্থানীয় সময় বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এশার নামাজের পর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান। 

গত ২৫ আগস্ট সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মক্কায় ৪৩তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে বিশ্বের ১১৭টি দেশ থেকে ১৬৬ প্রতিযোগী অংশ নেন। পাঁচ বিভাগে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সর্বমোট ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল পুরস্কার দেয়া হয়। 
 
প্রতিযোগিতায় পূর্ণ কোরআন হিফজ বিভাগে তৃতীয় হয়ে হাফেজ ফয়সাল আহমেদ পুরস্কার হিসেবে এক লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫২ লাখ ৬২ হাজার ৫৭৯ টাকা) ও সম্মাননা পদক পেয়েছেন। ফয়সাল রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন। তার বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায়। আরেক প্রতিযোগী হাফেজ মো. মুশফিকুর রহমান পবিত্র কোরআনের ১৫ পারা হিফজ বিভাগে অংশ নিয়েছেন। চতুর্থ হয়ে পুরস্কার হিসেবে ‍তিনি এক লাখ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৩৫ লাখ ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা) ও সম্মাননা পদক পেয়েছেন। তিনি কক্সবাজারের মা’হাদ আন-নিবরাসে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেছেন। 
 
এদিকে, আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে প্রথমবারের মতো ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিযোগিতার বিচারকার্য যথাযথ পালন করায় অনুষ্ঠানে তাকেও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতা ছাড়াও তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকায় আয়োজিত দেশের সর্ববৃহৎ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর’র বিচারক ছিলেন।

সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতাটি পাঁচটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এগুলো হলো: (১) শাতেবি পদ্ধতিতে সাত কিরাতসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ, (২) তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ এবং একক শব্দগুলোর তাফসির, (৩) তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ, (৪) তাজবিদসহ ১৫ পারা হিফজ ও (৫) তাজবিদসহ পাঁচ পারা হিফজ (শেষ বিভাগটি ওয়াইসিভুক্ত নয় এমন দেশের জন্য প্রযোজ্য)।

গত বছর (২০২২) এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। বিজয়ী হিসেবে তিনি এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট লাভ করেন। এর আগে এই প্রতিযোগিতায় ২০১৩ সালে ৭০টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ নাজমুস সাকিব। ২০১৭ সালে ৭৩টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুন।

 
সর্বশেষ সংবাদ
‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি‘ থাকছে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে

‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি‘ থাকছে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে