চলতি এশিয়ার সবচেয়ে বড় আসর এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের সুপার ফোরের খেলা শুরু হবে আজ থেকে। ৬ দলের টুর্নামেন্ট এখন ৪ দলে রূপ নিয়েছে। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচেই ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। টাইগার সমর্থকদের প্রত্যাশা তাই ম্যাচটিতে জয় পেয়ে সামনে একধাপ এগিয়ে যাওয়া। অথচ এই বাংলাদেশই শ্রীলঙ্কার কাছে হার দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল।
পরের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শান্ত ও মিরাজের জোড়া সেঞ্চুরিতে দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করে সাকিব আল হাসানের দল। আফগানিস্তানকে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে সমীকরণের কোনো পথ না রেখে সরাসরি জায়গা করে নেয় সুপার ফোর পর্বে। আজ বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে মুশফিক-মিরাজরা। ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস।
এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার একদিন আগেই বড় দুঃসংবাদ পায় টাইগার শিবির। এবারের আসরের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের শীর্ষে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন দল থেকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা মরার ম্যাচের তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
তবে একই দিনে টাইগার ভক্তরা একটি সুখবরও পায়। সেটি হলো জ্বর থেকে সেরে ওঠে দলে ঢুকেছেন পরীক্ষিত ওপেনার লিটন দাস। আজকের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে নিশ্চয়ই ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের জন্য এটি সুখবর। তবে এই ম্যাচটিতে জয় পাওয়া বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিনই হবে। কেননা ২২ গজে পাকিস্তানের পুরো দলের সঙ্গে প্রতিপক্ষ হবে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে থাকা দেশটির ৬০ হাজার দর্শক।
এদিকে আজকের ম্যাচটি হবে এবারের আসরে পাকিস্তানের মাটিতে সবশেষ ম্যাচ। আর এতে জয়ের জন্য প্রথমবারের মত ইতিহাসের জন্ম দিতে হবে বাংলাদেশকে। কেননা, এখনো পর্যন্ত কখনোই পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাটিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। পরিসংখ্যানে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এখনো পর্যন্ত ৩৭টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এসবের মধ্যে টাইগাররা জয় মাত্র ৫টিতে, বাকি ৩৭টিতেই জয়ী হয়েছে পাকিস্তান।
এদিকে রঙিন পোশাকের দীর্ঘ সংস্করণে ম্যান ইন গ্রিনদের সঙ্গে সবশেষ বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৯ সালে। ইংল্যান্ডের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপের লর্ডসের সে ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৯৪ রানে। এরপর আর বাবরদের সঙ্গে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি টাইগাররা। এদিকে স্বাগতিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ সবশেষ ম্যাচ জিতেছিল ২০১৮ সালে। তবে সবশেষ ৫ ম্যাচের হিসেব করলে জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানে এগিয়ে টাইগাররাই।
এদিকে বাংলাদেশ যে পাঁচটি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়েছে এসবের মধ্যে তিনটি জয়ই এসেছে মিরপুরে। বাকি দুইটির একটি নর্থাম্পটনে ১৯৯৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে, অন্যটি আবুধাবিতে ২০১৮ সালে। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান ঘরের মাঠে ১১টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে সবকটিতেই। এবারের এশিয়া কাপেও তারা এসেছে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হিসেবেই।