এশিয়া কাপের লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল নেপালের। ৬৫ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি মিডলঅর্ডাররা। তবে শেষের দিকে সোমপাল কামির দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ভারতকে ২৩১ রানের লক্ষ্য দিয়ে থেমেছে নেপাল। পাল্লেকেলেতে টস জিতে নেপালকে ব্যাটে পাঠায় ভারত। নেমে দারুণভাবে পাওয়ার প্লেতে ভারতীয় বোলারদের মোকাবেলা করেন নেপালের দুই ওপেনার।
পরে দ্রুতই উইকেট হারায় তারা। শেষ অবধি আসিফ শেখের ফিফটি ও সোমপাল কামির ৪৮ রানের ইনিংসে ৪৮.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩০ রানের সংগ্রহ পায় নেপাল। ব্যাটে নেমে নেপালের শুরুটা হয় দারুণ। একপ্রান্তে ধরে রাখেন আসিফ শেখ। অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ভূমিকায় কুশল ভুরতেল। দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকে নেপাল।
নবম ওভারের প্রথম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ভুরতেল। হার্দিক পান্ডিয়ার জোরাল আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান নেপাল ওপেনার। ৯.৫ ওভারে দলীয় ৬৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় নেপাল। শার্দূল ঠাকুরের বলে ঈশান কিষাণের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুশল। ২৫ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৮ রান করে যান।
উইকেট হারানোর পর রান তোলার গতি কিছুটা ধীর হয়ে যায়। ষোলোতম ওভারের শেষ বলে ভিম শাকরিকে ফেরান জাদেজা। ১৭ বলে ৭ রান করেন তিনি। ১৯তম ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন আসিফ শেখ। কূলদ্বীপ যাদবের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। এবারও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান নেপাল ব্যাটার।
২০তম ওভারের শেষ বলে তৃতীয় উইকেট হারায় নেপাল। জাদেজার বলে স্লিপে মোহাম্মদ শামির হাতে ধরা দেন অধিনায়ক রোহিত পাউদেল। ৮ বলে ৫ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। ২১.৫ ওভারে দলীয় ১০১ রানে জাদেজার তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন কুশল মাল্লা। ৫ বলে ২ রান করে যান। ২৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের দশম ফিফটির দেখা পান আসিফ।
ফিফটির পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি নেপালের উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ২৯.৫ ওভারে দলীয় ১৩২ রানে মোহাম্মদ সিরাজের বলে শর্ট কভার অঞ্চলে কোহলির হাতে ধরা দেন আসিফ। ফেরেন ৯৭ বলে ৫৮ রান করে। দলীয় ১৪৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় নেপাল। ৩১.৫ ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের বলে কিষাণের হাতে ক্যাচ দিয়ে গুলশান ঝাঁ ফেরেন ৩৫ বলে ২৩ রান করে।
৩৮ তম ওভারে মাঠে বৃষ্টি হানা দেয়। বৃষ্টির আগে নেপালের সংগ্রহ ছিল ৩৭.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান। এক ঘণ্টারও বেশি সময় পর খেলা গড়ায়। মাঠে ফিরে সংগ্রহ বাড়াতে থাকে দিপেন্দ্র সিং আইরি ও সোমপাল কামি। দলীয় ১৯৪ রানে ভাঙে নেপালের সপ্তম উইকেট জুটি। লেগ বিফোরের ফাঁদে পেলে দিপেন্দ্র সিংকে ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া। ২৫ বলে ২৯ রান করেন দিপেন্দ্র।
৪৩.৩ ওভারে সন্দ্বীপ লামিচানেকে সঙ্গী করে দলীয় দুইশত রান পার করেন সোমপাল কামি। ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ২২৮ রানে মোহাম্মদ শামির বলে কিষাণের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সোমপাল। ৫৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এক বল পরেই রানআউট হয়ে ফিরে যান লামিচানে। ১৭ বলে ৯ রান করেন নেপাল লেগ স্পিনার।
এরপর ৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস। ললিত রাজবংশীকে ফেরান সিরাজ। ভারতীয় বোলারদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ সিরাজ। এছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া, মোহাম্মদ শামি ও শার্দুল ঠাকুর নেন একটি করে উইকেট।