জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং জেনারেশন আনলিমিটেড ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় সফলভাবে ঢাকায় আয়োজিত হল ইমাজেন ভেঞ্চারস ইয়ুথ চ্যালেঞ্জ ২০২৩ বুট ক্যাম্প। তিন দিনব্যাপী এই কর্মশালা তরুণ উদ্যোক্তাদের মানবকেন্দ্রিক ডিজাইন ব্যবহার করে জেন্ডার বৈষম্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সামস্টিক কার্যকর সমাধান খোঁজার জন্য এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিচ্ছে।
ঢাকা বুট ক্যাম্পের একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “আমি এই বুট ক্যাম্পের অংশ হতে পেরে খুবই আনন্দিত এবং ইউনিসেফের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি এখানে শিখেছি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধাভোগী এবং ভুক্তভোগীদের দিক থেকে মূল সমস্যাটিকে কিভাবে বুঝতে হয় এবং চিহ্নিত করতে হয়। সমস্যাগুলোর ট্রি ম্যাপিং, সমাধান এবং সমাধান ভিত্তিক চিন্তাভাবনার উপর আমাদেরকে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। একটি কমিউনিটিতে কীভাবে সহানুভূতি দেখাতে হয়, সমস্যার সমাধান করতে হয় এবং তাদের জন্য প্রোটোটাইপ তৈরি করতে হয়- এসবকিছু শিখতে পেরে খুব ভালো লাগছে।"
তিন দিনের বুটক্যাম্পে ৫২ জন তরুণ অংশগ্রহণকারী জলবায়ু সমস্যা এবং জেন্ডার বৈষম্য মোকাবিলার প্রকল্পে তাদের ধারণাগুলি রূপান্তর করার জন্য দলগতভাবে কাজ করেছিলেন। বিশেষজ্ঞ সহায়তাকারীদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতাকে আরও উন্নত করতে পেরেছে। এতে তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে এবং এর বাইরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার সম্ভাবনাসহ অনন্য সমাধানগুলো বিকশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিগহাম বলেন "গত তিন দিন ধরে, জেএনইউ ইমেজন ভেঞ্চারে অংশ নেওয়া তরুণরা পরিবর্তনের ইতিবাচক প্রতিনিধি হিসাবে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন”। তিনি আরো বলেন, 'আমি তাদের আবেগ, শক্তি এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করি যা ইতিবাচক পরিবর্তন এবং আরও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক”।
পিচ ডে-তে অংশগ্রহণকারীরা তাদের উদীয়মান উদ্ভাবনগুলো বিশেষজ্ঞ বিচারকদের একটি প্যানেলের সামনে তুলে ধরেন। সেরা তিনটি উদ্ভাবনী এবং কার্যকরী সমাধানকে আরও বিকশিত করতে মেন্টরশিপ এবং ইনকিউবেশন সহায়তাসহ এক হাজার মার্কিন ডলারের সিড-তহবিল প্রদান করা হয়। এছাড়াও আগামী কয়েক মাসে সাতটি বিভাগে আরও সাতটি বুট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে।
এই উদ্যোগ নিয়ে জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান করভি রাকসান্দ বলেন, "ইমাজেন ভেঞ্চারস ইয়ুথ চ্যালেঞ্জ বুট ক্যাম্প তরুণদের প্রতিভা এবং তাদের উদ্ভাবনী সমাধানের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের দৃষ্টান্ত। এই প্রোগ্রামটি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তারুণ্যের শক্তি এবং সহযোগিতার প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে”।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেনারেশন আনলিমিটেড বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রাইটন এবং জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান করভি রাকসান্দ।