টিকটক এর কমিউনিটি গাইডলাইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশে সম্প্রতি প্রচারণা শুরু করেছে। এই উদ্যোগের একটি বড় অংশ হিসেবে টিকটক আয়োজন করছে বেশ কিছু ধারাবাহিক ওয়ার্কশপ। দেশের ক্রিয়েটরদের জন্য প্ল্যাটফর্মের কমিউনিটি গাইডলাইন সম্পর্কে বোধগম্যতা বাড়াতে এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মটিকে নিরাপদ এবং প্রাণবন্ত করার একটি অন্যতম প্রচেষ্টা হলো টিকটকের এই প্রচারণা। কমিউনিটির নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির প্রতি টিকটকের যে প্রতিশ্রুতি, এই প্রচারণা সেটিরই একটি অংশ। যা একইসাথে দায়িত্বশীল কনটেন্ট তৈরি করতেও উত্সাহিত করে।
টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন একটি বিশাল কাঠামো হিসাবে কাজ করে। এর গাইডলাইনগুলো প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করার সকল নিয়ম এবং মানগুলোকে তুলে ধরে৷ গাইডলাইনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন এর মাধ্যমে চলমান সব ট্রেন্ডের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া যায় এবং সেই সঙ্গে অনলাইনের ঝুঁকিগুলো কমিয়ে ফেলা যায়৷ সাম্প্রতিক আপডেটগুলো এই বছরের ২১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। বিশ্বের ১০০টিরও বেশি সংস্থা এবং টিকটক কমিউনিটির সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে এই
আপডেটের কার্যক্রম করা হয়েছে৷
এছাড়া, টিকটক বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সাথেও পার্টনারশিপ করছে যারা কনটেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মের কমিউনিটি গাইডলাইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে। টিকটকে প্রচারণার ল্যান্ডিং পেইজটি বাংলাদেশ কমিউনিটির কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য করা হবে, যেখানে ব্যবহার করা হবে #SaferTogether হ্যাশট্যাগটি। এখানে তারা দেখতে পারবেন তাদের প্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিডিও। কমিউনিটি গাইডলাইনগুলো বোঝার গুরুত্ব এবং এটি কীভাবে কনটেন্টের মানকে আরও ভালো করে তোলে, এমন বিষয়গুলো নিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এখানে কথা বলবেন। টিকটক এর কমিউনিটিকে এমন সৃজনশীলতায় উত্সাহিত করে যেখানে বজায় থাকবে সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা এবং মূল্যবোধ। টিকটক প্ল্যাটফর্ম এর ব্যবহারকারীদের কমিউনিটি গাইডলাইনগুলোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশদভাবে জানাতে কাজ করে যাচ্ছে। একইসাথে এটি নিশ্চিত করে যে প্রত্যেক ব্যবহারকারী যেন বুঝতে পারে একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল কমিউনিটির ক্ষেত্রে কি কি করনীয়। সৃজনশীলতাকে নিরাপদে তুলে ধরতে এবং সেই সাথে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে প্ল্যাটফর্মের সঠিক টুলসগুলো নিশ্চিত করতে টিকটক
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনলাইন নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতামূলক মনোভাবকে সমর্থন করে টিকটক। টিকটক মনে করে, নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।আর তাই, কমিউনিটি গাইডলাইনগুলো উন্নত করতে বিশ্বের যে
সংস্থাগুলো এবং ক্রিয়েটররা অবদান রেখেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্ল্যাটফর্মটি।