সারা দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলো ইচ্ছেমতো টিউশন ফি নিয়ে থাকে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিমাত্রায় টিউশন ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে অভিভাবকদের। এমন পরিস্থিতিতে একটি যৌক্তিক টিউশন ফি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
নীতিমালাটি পর্যালোচনার জন্য বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিউটে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
অভিযোগ রয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য টিউশন ফি নির্ধারণে পৃথক কোনো নীতিমালা না থাকায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়াম বা ইংলিশ ভার্সন পরিচালনাকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্বাভাবিক হারে টিউশন ফি আদায় করে থাকে। শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালায় ভর্তি ফি নির্ধারিত হওয়ায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেই ফি টিউশন ফির সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে থাকে।
আবার পুনঃভর্তি ফি বাতিল করা হলেও বিভিন্ন নামে এই ফি আদায় করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এভাবে শিশুদের শিক্ষা ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে চাপে পড়ছেন অভিভাবকরা।
জানা যায়, টিউশন ফি নীতমালা পর্যালোচনার সভায় সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. রবিউল ইসলাম। সভায় উপস্থিত থাকবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড-ঢাকার কর্মকর্তাসহ মাউশির ঢাকা আঞ্চলিক উপপরিচালক।