এবার বেশ ধুমধাম করে চলছিল প্রস্তুতি। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছিল বিয়েবাড়ি। যথা সময়ে বরযাত্রী নিয়ে হাজির পাত্র। সেজেগুজে প্রস্তুত কনেও। এর মধ্যেই বিয়ের আসরে হঠাৎ দেখা প্রেমিকের সঙ্গে। ব্যাস, ওমনি মতবদল! মনের মানুষকে ছাড়া আর কারও গলায় মালা দেবেন না বলে জিদ ধরেন কনে। তাতেই ভেস্তে যায় পুরো আয়োজন। খালি হাতে ফিরে যেতে হয় পাত্রপক্ষকে। না, কোনো সিনেমার গল্প নয়। বাস্তবেই এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতে।
জানা যায়, ঘটনাটি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের কোলালা শহরের। সেখানে কয়েকদিন আগে বিয়েবাড়িতে হঠাৎ মতবদল হয় এক কনের। বিয়ের রীতি রেওয়াজ শুরু হতেই আচমকা গাঁটছড়া বাধঁবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি। কিন্তু দুই বাড়িতে রীতিমতো কথাবার্তা বলেই ঠিক হয়েছিল বিয়ে। পাত্র-পাত্রী দুজনেই একে অপরকে পছন্দ করে রাজি হয়েছিলেন।
তাহলে শেষ মুহূর্তে কেনই বা বিয়েতে নারাজ হলেন কনে? হকচকিত হয়ে যান বিয়েবাড়িতে উপস্থিত সবাই। তবে আসল কারণ ফাঁস হতে সময় লাগেনি। কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই জানতে পারেন, ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কনের প্রেমিক। শুভদৃষ্টির আগে তাকে দেখতে পান কনে। আর তাই ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে অন্য় কোনো পুরুষের গলায় মালা পরাবেন না বলে ঘোষণা দেন তিনি।
মূলত দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিল কনের। কিন্তু সেই সম্পর্কে মত ছিল না তার পরিবারের। এরই মধ্যে বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক করায় মনের দুঃখ চেপে রাজি হয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু বিয়ের আসরে প্রেমিককে দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি। জানিয়ে দেন, প্রেমিককে ছাড়া আর কাউকে জীবনসঙ্গী করতে পারবেন না তিনি।
এর ফলে হইচই পড়ে যায় বিয়েবাড়িতে। গোলমালের একপর্যায়ে ডাকা হয় পুলিশ। তবে পুলিশও কনের পক্ষই নিয়েছিল। মেয়েটির অমতে বিয়েতে জোর না দিতে পাত্রপক্ষকে রাজি করান তারা। এই বিয়ের জন্য উভয় পরিবারই বিপুল টাকাপয়সা খরচ করেছিল। কিন্তু কনের আপত্তিতে ভেস্তে যায় সব। জানা গেছে, দুই পরিবার এখন বিয়ের জন্য আরেকটি দিন নির্ধারণে রাজি হয়েছে।