এবার ড.মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ১৬০ বিশ্বনেতা বিবৃতি দিয়েছেন। এই বিষয়ে এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্দোষ হলে ড. ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করতে যেতেন না। তিনি বিবৃতিদাতাদের বাংলাদেশে এসে ড. ইউনূসের কাগজপত্র পরীক্ষার আহ্বান জানান।
আজ মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ভদ্রলোকের যদি এতই আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে কেন তিনি চিঠি ভিক্ষা করে বেড়াবেন?’ প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি এখন কর না দেয়, শ্রমিকের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, লেবার কের্টে যদি মামলা হয়, তাহলে আমাদের কি কোনো হাত আছে বন্ধ করার? আপনারাই বিচার করেন।’
সরকার প্রধান বলেন, একটা চলমান মামলা। আমরা চলমান কোনো মামলা নিয়ে আলোচনাও করি না। বাইরে থেকে চিঠি এনে মামলা প্রত্যাহার করার কী বা আমি মামলা প্রত্যাহার করার কে? জুডিসারি কিন্তু স্বাধীন। এরপর শেখ হাসিনা বিবৃতিদাতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি বলব—বিবৃতিদাতাদের বাংলাদেশে এসে ড. ইউনূসের কাগজপত্র পরীক্ষার করেন। এক্সপার্ট পাঠান।’
এদিকে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনুসের মামলা স্থগিত এবং এখানে অবাধ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে ১৬০ জন বিশ্বনেতার বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে ড. ইউনূসের পক্ষে যারা বিবৃতি দিয়েছেন, তাদের দেশে কেউ ট্যাক্স ফাঁকি দিলে তাকে নিয়ে কি সরকার নাচত?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব বিবৃতিতে মামলা স্থগিত হবে না। আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করবে। আদালতকে ভয় পেলে চলবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। ড. ইউনূসের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের অর্থ মারেন, ট্যাক্স ফাঁকি দেবেন আর লম্বা লম্বা কথা বলেন। আজব এ দেশ। এটাই বাংলাদেশের রূপ? যারা আজকে নীতি কথা বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটরদের সময়ে তাদের নীতি কথা কোথায় ছিল। ভোট চুরির মাধ্যমে যাদের উত্থান আজ তাদের মুখেই সুষ্ঠু ভোটের কথা শুনতে হচ্ছে।
, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
,
৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
