এবার বিবাহিত কোনো পুরুষকে যদি তার স্ত্রী বা শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে ঘরজামাই হতে চাপ দেওয়া হয়, সেটা ওই পুরুষের প্রতি প্রকারান্তরে নিষ্ঠুরতার সামিল। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণার ডিভিশন বেঞ্চ বিবাহবিচ্ছেদের একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে পুরনো এক মামলার সূত্রে এ মন্তব্য করেন।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ২০১৬ সালে একটি মামলা চলছিল। রায়ের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল নিষ্ঠুরতার নতুন এক সংজ্ঞা। এতে বলা হয়, বিয়ের পর কোনো পুরুষকে তার নিজের পরিবার ছাড়তে বাধ্য করার চেষ্টা হয় তা নিষ্ঠুরতার সামিল।
জানা গেছে, ২০০১ সালে গুজরাটের যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় দিল্লির তরুণীর। বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে মেয়েকে দিল্লি নিয়ে চলে আসেন তার বাবা-মা। এদিকে স্ত্রীকে ফেরাতে বহু চেষ্টা করেন গুজরাটের ওই যুবক।
তবে ব্যর্থ হন তিনি। উল্টো তাকেই দিল্লি গিয়ে ঘরজামাই হতে বলা হয়। যা প্রকারান্তরে তার মনের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিল। ২০০২ সাল থেকে এ স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকছেন। বিয়ের পর ছয়মাস কোনোরকমে তারা এক সঙ্গে থেকেছেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এ দম্পতির দীর্ঘ দুই দশকের বিচ্ছিন্নতাই প্রমাণ করে- তাদের মধ্যে দাম্পত্য বলে কিছু টিকে নেই!
বিচ্ছিন্নতাসহ একে অপর থেকে দীর্ঘদিন আলাদা থাকার বিষয়টিকেও পারস্পরিক নিষ্ঠুরতা বলে উল্লেখ করেন আদালত। পাশাপাশি ২০১৯ সালে ওই পুরুষের দায়ের করা বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদনও মঞ্জুর করেন আদালত।