ঠাকুরগাঁও থেকে: এক হাতে পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে এবং একটির ওপর আরেকটি সারিবদ্ধ ভাবে ফেলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ নাম এসেছিল মালয়েশিয়ার এক যুবকের। তার সময় লেগেছিল ৩ দশমিক ৬৪ সেকেন্ড। তবে মাত্র ২ দশমিক ৪৭ সেকেন্ডে তার সে রেকর্ডকে ভেঙ্গে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ নাম লিখিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের জাহিদুল ইসলাম অংকন।
অংকন ঠাকুরগাঁও শহরের শাহ্পাড়া এলাকার ইকবাল হোসেন ও জাহেদা বেগম দম্পতির ছেলে। অংকন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
গত বুধবার (২৩ আগস্ট) এ বিষয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস একটি ইমেইল করে রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে অংকনকে। আগামী দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে স্বীকৃতি পত্র পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে গিনেস কর্তৃপক্ষ। অংকনের এমন সাফল্যে খুশি তার শিক্ষক, স্বজন, বন্ধুসহ এলাকাবাসী।
গিনেস বুকে সদ্য নাম তোলা অংকন বলেন, ‘২০২০ সালে করোনার সময়ে লকডাউনে ঘরে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-গুলোয় নানা আইডিয়া খুঁজতাম। এ সময় রেকর্ডের জন্য অনেক বিষয় থাকলেও পাঁচটি রাবার (ইরেজার) দাঁড় করিয়ে একটির ওপর আরেকটি ফেলে দেওয়ার বিষয়টি বেছে নিই। দীর্ঘ অনুশীলনের পর চলতি বছরের এপ্রিলে আবেদন জানাই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে। পরে ১৭ মে এভাবে একটার পর একটা রাবার ফেলার এ কৌশলের ২টি ভিডিও বানিয়ে তাঁদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিই। সেখানে দ্রুততম সময়ে অর্থাৎ ২ দশুমিক ৪৭ সেকেন্ডে পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির ওপর আরেকটি ফেলে দেওয়ায় রেকর্ডের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।’
তবে অংকন জানান, তার লক্ষ্য নতুন নতুন খেলায় অংশ নিয়ে দেশের হয়ে রেকর্ডগুলো নিজের করে নেওয়া।
অংকনের বাবা ইকবাল হোসেন জানান, তার ছেলে ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন বিষয়ের প্রতি আগ্রহী ছিল। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের পরিবার-পরিজনের জন্য যেমন গর্বের বিষয়, তেমনি করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ জায়গা করে নেয়াটা দেশের জন্যও সম্মান এবং গর্বের বিষয়।