, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


লঞ্চ থেকে পড়ে নদীতে ১০ ঘন্টা ভেসে থাকা জোহরা মারা গেছেন

  • আপলোড সময় : ০৮-০৫-২০২৩ ০৫:২৭:১২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৫-২০২৩ ০৫:২৭:১২ অপরাহ্ন
লঞ্চ থেকে পড়ে নদীতে ১০ ঘন্টা ভেসে থাকা জোহরা মারা গেছেন
এবার লঞ্চ থেকে পড়ে মেঘনায় নিখোঁজের ১০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হওয়া জহুরা বেগম (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আজ সোমবার ৮ মে সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুর্নবাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পঙ্গু হাসপাতালে জহুরার সঙ্গে থাকা তার মা নার্গিস বেগম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গোসাইরহাট থানা পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, ৪ মে রাতে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের মিত্রসেন পট্টির লঞ্চ ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এম ভি ঈগল-৩ লঞ্চে ঢাকা যাচ্ছিলেন জহুরা। রাত সাড়ে ১১টার সময় হঠাৎ মেঘনা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের ১০ ঘন্টা পর ৫ মে সকাল ৯টার দিকে একটি চরে আটকে থাকা জহুররাকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। 

নদীতে পড়ে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড আঘাতে তার বাম পা ভেঙে যায়। উদ্ধারের পর জহুরাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পায়ের আঘাত গুরুতর হওয়ায় ওই দিনেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে দীর্ঘ ৪ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর মারা যান জহুরা। 
 
জহুরার মা নার্গিস বেগম মুঠোফোনে বলেন, গাঙ্গে ১০ ঘণ্টা ভাইসা মাইয়া আমার জীবিত ফিরা আইলো। কিন্তু আমরা অরে বাঁচাতে পারলাম না। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি জহুরাকে বাঁচানোর জন্য। ওর দুই ছেলে ও এক মেয়ে মা হারা হয়ে গেল। আমি ওদের কি বলে শান্তনা দেব।
 
এ বিষয়ে কুচাইপট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন স্বপন বলেন, জহুরা জীবন বাঁচাতে সাহসিকতার সঙ্গে মেঘনা নদীতে ভেসে ছিলেন। সকলের সহযোগিতায় তার উন্নত চিকিৎসা চলছিল। সেই জহুরা এভাবে চিকিৎসাধীন অবস্থায মারা যাবেন বুঝতে পারিনি। আমরা তার পরিবারের পাশে থাকব।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’