এবার আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষে ওঠার ৪৮ ঘণ্টা পরই আবার তিনে নেমে গেছে পাকিস্তান। প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার পর বাবর আজম বলেছিলেন, এই অবস্থান ধরে রাখতে চান তারা লম্বা সময়। বাস্তবে হলো উল্টো। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে গতকাল রবিবার করাচিতে ৪৭ রানে হারে পাকিস্তান। আগের ম্যাচেই শুক্রবার জিতে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিল তারা।
সেই অবস্থান ধরে রাখতে প্রয়োজন ছিল শেষ ম্যাচেও জয়। কিন্তু কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাবরের দল। শেষ ম্যাচ হারায় তারা নেমে গেছে তিনে। ১১৩ পয়েন্ট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে এখন অস্ট্রেলিয়া। সমান পয়েন্ট নিয়েও ভগ্নাংশের ব্যবধানে দুইয়ে ভারত। পাকিস্তানের পয়েস্ট ১১২। ইংল্যান্ড চারে আছে ১১১ পয়েন্ট নিয়ে। ১০৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে নিউ জিল্যান্ড। শীর্ষ ৫ দলের ব্যবধান তাই স্রেফ ৫ পয়েন্ট। অবস্থানের ওলটপালট সামনেও হতে পারে অনেক।
শেষ ম্যাচের হারে আক্ষেপ আছে বাবর আজমের। তবে গোটা সিরিজে তাকিয়ে ইতিবাচক অনেক কিছু খুঁজে পাচ্ছেন তিনি। দুই দিনে শীর্ষস্থান হারালেও পাকিস্তান অধিনায়ক বললেন অনেক প্রাপ্তির কথা। বাবর বলেন, “আমরা যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম, সেভাবে শেষ করতে পারিনি। আজকে রাত তাড়ায় শুরুতে আমরা বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলি। এরপর যখন জুটি গড়া প্রয়োজন ছিল, তখন পারিনি। নিউ জিল্যান্ড আজকে খুব ভালো বোলিং করেছে। তবে গোটা সিরিজটি আমাদের জন্য ছিল অসাধারণ। অনেক ইতিবাচক প্রাপ্তি আছে এই সিরিজে।”
সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ার পর শেষ দুই ম্যাচে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পাকিস্তান। তা কাজে লেগে যায়। প্রায় এক বছর পর ওয়ানডেতে ফিরে ইফতিখার আহমেদ চতুর্থ ম্যাচে করেন ২২ বলে ২৮, শেষ ম্যাচে ৭২ বলে অপরাজিত ৯৪। শেষ দুই ম্যাচে দারুণ দুটি ফিফটি করে আঘা সালামান। লেগ স্পিনার উসামা মির সুযোগ পেয়ে নিজের ঝলক দেখান।
বাবর আলাদা করে বললেন মিডল অর্ডারের পারফরম্যান্সের কথা। তিনি বলেন, “সব মিলিয়ে সিরিজটি আমাদের জন্য ভালো ছিল। বাইরে থেকে কয়েকজনকে দলে এনে বাজিয়ে দেখতে পেরেছি আমরা এবং বিভিন্ন কম্বিনেশন চেষ্টা করে দেখেছি যে ওয়ানডে দল হিসেবে আমরা কোথায় আছি। মিডল অর্ডারে আমাদের সমস্যা ছিল। একটা ঘাটতির জায়গা ছিল, সেখানে বেশ কিছু বিকল্প এখন আমাদের আছে।”