এবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে নিয়েছেন। পরে আসবাবপত্রগুলো থানা থেকে তার কোয়ার্টারের সামনে রাখা হয়। এভাবে থানার আসবাবপত্র খুলে নেয়ার ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
অন্যদিকে থানার সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য যারা জিনিসগুলো উপহার দিয়েছেন তারাও বিরূপ মন্তব্য করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এবং ভ্যান চালকের সহায়তায় থানার আসবাবপত্রগুলো খোলা হয়। এরপর সেগুলো থানা থেকে ভ্যানযোগে ওসির কোয়ার্টারে নেয়া হয়।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৫১৭০/১ (৪৯)(আরওআই) আদেশে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার এই বদলির আদেশের পরের দিন শুক্রবার রাতে থানার এসি, টেলিভিশন, সোফা ও আইপিএস খুলে নেয়া হয়।
এদিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে আসবাবপত্রগুলো খুলে নেয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানযোগে ওসির কোয়ার্টারে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জুরান মন্ডল বলেন, থানার সৌন্দর্য্য বর্ধন ও থানায় যে ওসি থাকবেন তারা যেন সুবিধা ভোগ করতে পারে সেজন্য বালু মহালের টাকা দিয়ে আসবাবপত্রগুলো দেয়া হয়েছে থানার স্বার্থে, কারও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। শুনেছি তিনি সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন। এটা ঠিক না। এগুলো তাকে ব্যক্তিগতভাবে দেয়া হয়নি, তার চেয়ারটাকে সম্মান করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান জানান, ওসির টাকায় কেনা আসবাবপত্র হলে তো সে নিতেই পারে। এই বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। বদলি হওয়া ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যেগুলো থানা হতে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। সুতরাং সেগুলো আমি নিতেই পারি।