পবিত্র সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হেনেছে। গত মঙ্গলবার ২২ আগস্ট ঝড়ের পাশাপাশি ভয়ংকর বজ্রপাত ও তুমুল বৃষ্টি নামে। এতে ওমরাহ করতে আসা মুসল্লি, সেখানকার কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। এ ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যা পরিস্থিতিতে মোহাম্মদ আল-তাওয়াইম নামে একজন শিক্ষক মারা গেছেন। তিনি বন্যার পানিতে গাড়িসহ ডুবে গেলে তা থেকে নামার চেষ্টা করে প্রাণ হারান। মিনা এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন তিনি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুল খোলা পর্যন্ত সব শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চলবে বলে জানিয়েছে মক্কা গভর্নরেট।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে মক্কায় আকস্মিক বর্ষণ ও ঝড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় পবিত্র মসজিদুল হারামে অনেক ওমরাহকারীদের নিরাপদ স্থানে ছুটতে দেখা যায়। এমনকি প্রচণ্ড বাতাসের কারণে অনেকে পড়ে যাচ্ছিলেন। অনেকে বাতাসের ধাক্কায় দূরে ছিটকে পড়ছিলেন।
ভিডিওতে আরো দেখা যায়, পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদের কর্মীরা আবর্জনার বিশাল পাত্রগুলো ধরে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বাতাসের গতিবেগ এত বেশি ছিল যে ময়লার পাত্রগুলো উড়ে যায় এবং মসজিদের কর্মীরাও ছিটকে পড়েন। এ ছাড়া বাতাসের ধাক্কায় অনেকের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও অন্যান্য মালামাল উড়ে যায়।
দেশটির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএম) জানিয়েছে, ওই দিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মক্কা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তুমুল বর্ষণ, বজ্রপাত ও তীব্র বাতাস অব্যাহত থাকবে। এ জন্য সেখানকার বাসিন্দা ও ওমরাহকারীদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশটির বেশ কিছু প্রদেশ ও রাজ্যে লাল সতর্কতা জারি করা হয়। সূত্র : আরব নিউজ ও খালিজ টাইমস