কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গত ১৫ বছরে কৃষি উপকরণের দাম বাড়েনি, কোন ধরনের সংকটও হয়নি। অন্যদিকে বিএনপির আমলে কৃষি উপকরণের চরম সংকট ছিল।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর দিলকুশায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বরাদ্দ বেশি দেওয়ার ফলেই উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার সার, সেচ ও বীজসহ কৃষি উপকরণের যেমন দাম কমিয়েছে, তেমনি বিতরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে কৃষি উপকরণের দাম বাড়েনি, কোন ধরনের সংকটও হয়নি। অন্যদিকে বিএনপির আমলে কৃষি উপকরণের চরম সংকট ছিল। অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে চার-পাঁচ হাজার টাকা দিয়েও এক বস্তা সার পাওয়া যেত না। সারের জন্য কৃষককে জীবন পর্যন্ত দিতে হয়েছে।
বিএডিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত হলে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। যারা প্রকল্প দেখলেই প্রকল্প পরিচালক বা পিডি হওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন, তাদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে; তারা খুব একটা সম্মানের জায়গায় নেই।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন খুনি এখনো বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। যেসব দেশে এরা আশ্রয় নিয়েছে, সেসব দেশ তাদের প্রচলিত আইনের অজুহাতে ফেরত দিচ্ছে না। কিন্তু এটি হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা স্বঘোষিত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি। এরকম ঘৃণ্য খুনিদের কোন দেশই কোনো ধরনের আইনের অজুহাতে আশ্রয় দিতে পারে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আব্দুল আউয়াল ও বিএডিসির সচিব মো. আশরাফুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।