বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকদের অবস্থান হবে ম্যাজিস্ট্রেটদেরও ওপরে। প্রেস কাউন্সিল থেকে সাংবাদিকদের আইডেন্টিটি কার্ড দেওয়া হবে। সেটাই হবে সাংবাদিকদের মূল পরিচয়পত্র।
সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে দিনাজপুর সার্কিট হাউজ হলরুমে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রেস কাউন্সিল আইন, আচরণবিধি ও সাংবাদিকতার নীতিমালা শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম আরও বলেন, জেলা থেকে নাম পাঠালেই সাংবাদিক হওয়া যাবে না। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। স্থানীয় পত্রিকার জন্য সম্পাদকরা তালিকা দেবেন। একটি জেলার পাঠানো ৫৮ জনের তালিকায় সবার দরখাস্তই অসম্পূর্ণ। সাংবাদিকদের স্বার্থ স্বংরক্ষণে প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে। নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকদের অবস্থান হবে ম্যাজিস্ট্রেটদেরও ওপরে। এখন পর্যন্ত অনলাইন মিডিয়া রিকগনাইজড নয়। শুধু একটি মোবাইল থাকলেই সে কিন্তু সাংবাদিক নয়। সকল সাংবাদিকদের রেগুলার ফর্মে নিয়ে আসা হবে।
সভায় সাংবাদিকতার নীতিমালা শীর্ষক আলোচনায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘সাংবাদিকদের প্রধান সমস্যা হলো পরিচয় সংকট, আইডেন্টিটি ক্রাইসিস। সাংবাদিকদের পরিচয়টা স্টাবলিশ করাটা খুব জরুরি। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এটা নিয়ে কাজ করছে।’
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার রুস্তম আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান। এছাড়া সভায় দিনাজপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।