এবার নওগাঁয় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে মোনাজাতের সময় সদ্যপ্রয়াত জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য দোয়া চান এক ইমাম। এ ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই ইমামসহ এক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
আজ বুধবার ১৬ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই দুইজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে শহরের তাজের মোড় শহীদ মিনার চত্বরে নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।
সেখানেই ওই ইমাম সাঈদীর জন্য দোয়া চান। ঘটনার কিছু পর সন্ধ্যার দিকে দুইজনকে থানায় নেয় পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন পার-নওগাঁ বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি পত্নীতলা উপজেলায়। অপর গ্রেফতার হাফিজুর রহমান তাজের মোড়ের রড়-সিমেন্ট ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে শহীদ মিনারে দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণের আয়োজন করা হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ ই আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
এদিন মোনাজাতের শেষ মুহূর্তে এসে ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন সদ্যপ্রয়াত সাঈদীর মৃত্যুতে দোয়া চাওয়া শুরু করেন। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে সাঈদীর জন্য দোয়া চাইতে নিষেধ করেন। পরে নেতাকর্মীদের তোপের মুখে ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান হাফিজ তাকে সাঈদীর মৃত্যুতে দোয়া পাঠের জন্য বলেছেন বলে ওই ইমাম জানান।
এদিকে নাম প্রকাশে না করার শর্তে কয়েকজন জানান, এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে মোয়াজ্জেম হোসেন ও হাফিজুর রহমানকে থানায় নিয়ে যায়। পার-নওগাঁ বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক রতন বলেন, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সদ্যপ্রয়াত সাঈদীর মৃত্যুতে দোয়া করেছেন ইমাম। ওই ঘটনার পর পুলিশ তাকে থানায় নিয়েছে। কী মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এখনো পর্যন্ত সে বিষয়ে আমরা কিছু জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, আগের একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় সন্ধ্যায় তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। মামলার বাদী পুলিশ। রাতে ওই মামলায় আসামিদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার আদালতে পাঠানো হবে।