মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, চকরিয়া থেকে: কক্সবাজারের চকরিয়ায় বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চকরিয়া উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার সকল চাষাবাদ বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।এতে হাজার হাজার কৃষকের স্বপ্ন বন্যার পানিতে ডুবে শেষ হয়ে যায়।এরপরও প্রান্তিক কৃষকরা থেমে নাই চাষাবাদের চাকা সচল রাখার জন্য। তারা বিরতিহীন পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
চকরিয়ার প্রায় ৬৪ হাজার কৃষক বন্যা প্লাবিত হওয়ার আগে ফসলী জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করে।আবার অনেক কৃষক ধান চাষের জন্য বীজ তলায় বীজ বপন করে চারা বড় করেছিল। কিন্তু বন্যা প্লাবিত হওয়ায় কৃষকদের আমন ধানের চাষ ও বীজ তলার ধানের চারা গুলো নষ্ট হয়ে যায়।ফলে কৃষকদের স্বপ্ন গুলো মাটির সাথে মিশে যায়।
চকরিয়ার অনেকে কৃষক বলেন, ৪/৫ কানি জমি চাষ করতে আমাদের এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ।কিন্তু বন্যা প্লাবিত হওয়ায় আমাদের ১ লক্ষ টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এখন আমরা আবারও ধার-কর্জ করে আমন ধানের চাষ করার জন্য চেষ্টা করতেছি।
তারা আরো বলেন, দক্ষিণ চট্রগ্রামে প্রায় অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় আমন ধানের চারা গুলো নষ্ট হয়ে গেছে।ফলে কোন জায়গাতে তেমন আমান ধানের চারা পাওয়া যাচ্ছে।এমতাবস্থায় আমরা দ্রুত সময়ে বীজ তলা তৈরি করে বীজ বপন করে চারা বড় করে ধান চাষের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, চকরিয়া উপজেলায় প্রায় ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। কিন্তু বন্যা প্লাবিত হওয়ায় ৬৪ হাজার কৃষকদের আমন ধানের চাষ নষ্ট হয়ে। ফলে তারা অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেছে।এমতাবস্থায় আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের বীজধান,সার ও বিষসহ অন্যান্য দিয়ে সহযোগিতা করার ব্যবস্থা করছি যাতে কৃষকরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া আমরা আরো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কৃষিখাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য।