গত মার্চে ইংল্যান্ড সিরিজের পর আয়ারল্যান্ড সিরিজে ‘বিশ্রাম’ দেওয়ার কথা বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বসিয়ে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ইংল্যান্ড সিরিজের পর আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান সিরিজের কোনোটিতেই জায়গা হয়নি ডানহাতি এই লোয়ার মিডল অর্ডারের। সবগুলো সিরিজ থেকেই ‘বিশ্রাম’ দেয়া হয় ‘সাইলেন্ট কিলারকে’।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছিলো এশিয়া কাপের স্কোয়াডে তাকে রাখার মাধ্যমে ভাঙা হবে তার ‘বিশ্রাম’। কিন্তু সেটি আর হয়নি। ১৭ জনের মূল স্কোয়াড তো বটেই, এশিয়া কাপের জন্য স্ট্যান্ডবাই হিসেবেও রাখা হয়নি তাকে। এর মাধ্যমে এক প্রকারে ‘বিশ্রামে’ থাকা রিয়াদ অনুষ্ঠানিকভাবেই যেন বাদ পরে গেলেন। এখন শুধু অপেক্ষা ডানহাতি এই ব্যাটারের আনুষ্ঠানিক অবসরের ঘোষণার।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে থেকেও আনুষ্ঠানিক বাদ বলার কারণ, ২০২১ সালের জুলাইয়ে সবশেষ টেস্ট আর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রিয়াদ। এতদিন ‘বিশ্রাম’ বলা হলেও এশিয়া কাপের স্কোয়াড ঘোষণার দিন সরাসরিই তাকে বাদের খাতায় ফেলে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
এদিকে নান্নু বলেন, ‘তাকে নিয়ে অনেক লম্বা আলোচনা হয়ে আসছে শুরুর দিকে। দীর্ঘ আলোচনার পর টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের একটা পরিকল্পনা দেয়, সামনে কীভাবে কোন দেশের সঙ্গে খেলবে এবং তার কৌশল নিয়ে। সেই চিন্তা-ভাবনা থেকেই রিয়াদকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনাকে আমরা অবশ্যই ভালো মনে করেছি। ওদের সঙ্গে যেহেতু প্রধান কোচের একটা পরিকল্পনা আছে দল পরিচালনা নিয়ে। তা ছাড়া এ নিয়ে অধিনায়কের সঙ্গেও কথা হয়েছে।’
নান্নুর এই কথার পর বিশ্বকাপের স্কোয়াডে যে তাকে দেখা যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই সেটি অনেকটাই পরিস্কার। কেননা এশিয়া কাপের এই দল থেকেই সাজানো হবে বিশ্বকাপের স্কোয়াড। এই ১৭ জন থেকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে বাদ পড়বেন দুজন। সেই মোতাবেক স্কোয়াডের বাহিরে থাকা রিয়াদের সামনে বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। পাশাপাশি রয়েছে হেড কোচ ও অধিনায়কের প্রভাব।
২০১৯ বিশ্বকাপের সময় মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্স নিয়ে তৎকালীন অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার কাছে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আর হেড কোচ হাথুরুসিংহের তো এক প্রকারে ‘চোখের বালি’ রিয়াদ। এই দিক বিবেচনাতেও দলে ফেরার সম্ভাবনা নেই ডানহাতি এই ব্যাটারের। তাই বলাই চলে এশিয়া কাপের স্কোয়াড ঘোষণার মাধ্যমে হয়েই গেলো রিয়াদ অধ্যায়ের অনানুষ্ঠানিক সমাপ্তি।