তরিকুল ইসলাম, নেছারাবাদ উপজেলা থেকে: ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল। দক্ষিণাঞ্চলের রাস্তার ঘাটের উন্নতি হলেও এখন পর্যন্ত কৃষি কাজে সার, গবাদি পশু, হাঁস, মুরগির খাবার আনায়নের মাধ্যম একমাত্র ডিঙ্গি নৌকা।
নেছারাবাদ উপজেলার কুড়িয়ানা ইউনিয়নের খাল ও কুলে সপ্তাহে শুক্রবার বসে এই ডিংগি নৌকার হাট। হাটে নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে তৈরি করা ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে বিক্রি করতে আসেন এই হাটে। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ডিংগি নৌকা বিক্রি করেন নৌকা বিক্রেতারা।
এই ডিঙ্গি নৌকার হাটে নেছারাবাদ উপজেলা ছাড়াও আশেপাশের উপজেলা থেকে শতশত ক্রেতা আসেন এই নৌকা ক্রয় করতে। নৌকা ক্রেতা সুব্রত সরকার বলেন, আমাদের যাতায়াত সহ কৃষির জন্য সার, হাঁস, মুরগির খাবার আনতে এই ডিংগি নৌকার গুরুত্ব অপরিসীম।
নৌকা বিক্রেতা বাবুল বলেন, এই হাটে আমরা প্রায় ৩০/৪০ জন ব্যবসায়ি নৌকা তৈরি করে বিক্রি করতে আসি। একজন নৌকা বিক্রেতা ৮-১০ টি করে নৌকা নিয়ে আসি। প্রতিটি নৌকা ৩০০০ হাজার হইতে ৮০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এই নৌকা তৈরিতে আমরা রেইনট্রি, চাম্বল কাঠ ব্যবহার করি এবং একটি নৌকা তৈরিতে ২ থেকে ৩ জন মিস্ত্রি পরিশ্রম করে।
কুড়িয়ানার নির্মল সুতার বলেন, শত বছরের এই নৌকার হাটে অনেক দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা নৌকা কিনতে আসেন। হাটের জৌলুশ এখনও বিদ্যমান।
হাট ইজারাদার সঞ্জয় বলেন, বর্তমানে এখানে পেয়ারার মৌসুম। পেয়ারা চাষীরা আরতে পেয়ারা নিয়ে আসেন নৌকায় করে। এখানে যারা নৌকা ক্রয় করতে আসেন তারা সবাই নগদ টাকা নিয়ে আসেন। যার কারণে আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেই।