বর্তমানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ‘বিপিএম৬’ পদ্ধতি মেনে রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই অনুযায়ী, খরচ করার মতো রিজার্ভ এখন ২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৩২৬ কোটি ডলারের কিছু বেশি।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব ওয়েয়বসাইটে গতকাল বুধবারের (৯ আগস্ট) তারিখ দিয়ে এ হিসাব প্রকাশ করেছে।
সেখানে একই সঙ্গে নিজেদের হিসাবও দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ দেখানো হয়েছে, ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৯৫৩ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।
আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশের এই রিজার্ভ (২৩.২৬ বিলিয়ন ডলার) দিয়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
এর আগে, গত ১৩ জুলাই প্রথমবার আইএমএফের হিসাব মেনে রিজার্ভের পরিমাণ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব মতে রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনা। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই তা প্রকাশ করার কথা ছিল। সেই শর্তের আলোকে চলতি মাস জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ হিসাব প্রকাশ করছে।
গত জুন মাসে আইএমএফের বিপিএম-৬ ফর্মুলা অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব গণনা অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ইতোমধ্যে আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।