কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দানবাক্স থেকে পাওয়া ১৯ বস্তা টাকা গণনায় ইতোমধ্যেই ৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার (৫ মে) টাকা গণনাকালে বিকেল ৫টার আগেই রেকর্ড পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে একই দিন সকাল ৮টায় মসজিদের আটটি লোহার দানবাক্স খোলে মসজিদে দোতলায় আনা হয় গণনার জন্য। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, এবার ছয় কোটির মতো টাকা পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শনিবার সকাল ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। পরে ১৯টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয় গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় তখন রেকর্ড ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।
জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।