এক সময় দলের স্বার্থে ভাঙা আঙুল নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সেই ডেলিভারিটিই এশিয়া কাপে তার ব্যাটিংয়ের সবশেষ স্মৃতি। এবারের এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। কয়েকদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়কের নাম শোনা যাবে। যেখানে জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে সাকিব আল হাসানের নাম। শুধু এশিয়া কাপই নয়, সাকিবের নেতৃত্ব বিশ্বকাপেও দেখা যেতে পারে।
আর বিশ্বকাপের বিষয়টি ৪ বছর আগেই জানিয়েছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। গত ২০১৯ সালে সাকিব যখন আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তখন মাশরাফী লিখেছিলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছরের সহযোদ্ধার আজকের ঘটনায় নিশ্চিতভাবেই কিছু বিনিদ্র রাত কাটবে আমার। তবে কিছুদিন পর এটা ভেবেও শান্তিতে ঘুমাতে পারব যে, তার নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। কারণ নামটি তো সাকিব আল হাসান...!!!’
এ দিকে টাইগার ক্রিকেট ভক্তদের ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরের স্মৃতি ভুলে যাওয়ার কথা নয়। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ইতিহাস রচনা করেছিলেন তামিম ইকবাল। সেদিন আঙুলে চোট পাওয়ায় ওপেনিংয়ে বেশিক্ষণ ব্যাটিং করা হয়নি তার। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে যেতে হয় মাঠের বাইরে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলকে ভালো একটা সংগ্রহ এনে দিতে একাই লড়ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
৯ উইকেট পড়ার পর সবাইকে চমকে দিয়ে ভাঙা আঙুল নিয়েই ব্যাটিংয়ে নেমে পড়েন তামিম। লাকমালের করা ৪৭তম ওভারের শেষ বলটা কোনো রকমে ঠেকিয়ে উইকেটটা বাঁচান। এরপর স্ট্রাইক ধরে রেখে স্কোরবোর্ডে আরও ৩২ রান যোগ করেন মুশফিক। ২৬১ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। মুশির ১৪৪ রানের নায়কোচিত ইনিংসে ভর করেই সেদিন দারুণ জয়ে এশিয়া কাপে শুভসূচনা করে টাইগাররা।
তবে ঐ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মুশফিক হলেও বীরোচিত কাজে দেশের মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন তামিম ইকবাল। এশিয়া কাপের পরের আসরটি হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। যেখানে ছিলেন না তামিম। আর এবার ওয়ানডে ফরম্যাটের আরও এক এশিয়া কাপের আগ মুহূর্তে ইনজুরির কাছে হার মানতে হলো তাকে। ৫ বছর আগে আমিরাতে হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলা বলটাই এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে এই ওপেনারের শেষ ডেলিভারি হয়ে রইলো।
শুধু এটাই নয়, শেষ হয়েছে তামিমের ওয়ানডে অধিনায়কত্বের অধ্যায়ও। সম্ভাব্য নতুন ক্যাপ্টেন হিসেবে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে সাকিব আল হাসানের নাম। ২০২৩ বিশ্বকাপ নিয়ে বড় স্বপ্নটা আবারও দেখতে শুরু করেছেন ভক্তরা। তবে এমন স্বপ্ন অনেক আগেই দেখেছেন দেশের ক্রিকেটের আরেক কিংবদন্তি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।