অবশেষে স্বেচ্ছায় জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় বৈঠক করেন তামিম। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন বাঁহাতি ওপেনার। কেবল অধিনায়কত্ব নয়, ফিটনেস নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় এশিয়া কাপ থেকেও নিজেকে সরে নিয়েছেন তামিম।
এমন আবহে তামিমকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন তাঁর বড়ভাই নাফিস ইকবাল। বিসিবির পরিকল্পনা অনুযায়ী কথা ছিলো বিশ্বকাপে তামিমের অধীনে খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু ইনজুরি নিয়ে শঙ্কার মাঝে তামিম চান না অধিনায়কত্বের গুরু দায়িত্ব আঁকড়ে থাকার।
এদিকে বিসিবি সভাপতি পাপনের বাসভবনে বৈঠক সেরে গতকাল ৩ আগস্ট দিবাগত রাতে সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেন, 'আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আমার সমস্যা, কী সমস্যা ছিল, কী হবে সামনে, সবকিছু নিয়ে। আমি একটা ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেটা উনাদেরকে বলেছি, কারণও জানিয়েছি, আজকে থেকে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করছি।'
তামিমের এমন সিদ্ধান্তের পর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় দলের ম্যানেজার ও সাবেক ক্রিকেটার নাফিস লিখেন, ‘ওয়েল ডান। চিন্তাজুড়ে শুধু দেশ আর দল। আবারো আমাদের গর্বিত করেছো আমার ভাই।’ ২০২০ সালে করোনাকালীন গৃহবন্দী সময়ে তামিমের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে এক আড্ডায় মাশরাফি বিন মর্তুজার কথায় উঠে আসে, তামিমের পেছনে নাফিসের অবদানের কথা। এবার তামিমের ক্যারিয়ারের কঠিন সময়েও পাশে রইলেন নাফিস।
এদিকে অধিনায়ক হিসেবে ৩৭টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। এরমধ্যে জয় এসেছে ২১টিতে, পরাজয় ১৪টিতে। ফলাফল হয়নি দুই ম্যাচে। সাফল্যের শতকরা হার ৬০ শতাংশ। এশিয়া কাপে খেলা না হলেও ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজে প্রত্যাবর্তনের আশা তামিমের । দলে ফিরলে কেবল ব্যাটার হিসেবে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।