এবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এবং ছেলে তারেক রহমানের পর এবার পুত্রবধু ডা. জোবাইদা রহমানও নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হলেন। কেননা, ফৌজদারী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাজাভোগের আগে প্রার্থী হতে পারেন না। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় গতকাল বুধবার ২ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুটি অভিযোগে নয় বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এদিকে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ ধারা অনুযায়ী, দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনের অযোগ্য। সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নির্বাচনের অযোগ্য হবেন, যদি ‘নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে।’
এদিকে বেগম খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় এবং তার সাজাভোগ করার পর পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত না হওয়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হন। আপিল করেও তিনি প্রার্থিতা পাননি।
অন্যদিকে তারেক রহমানও একাধিক মামলায় দুই বছরের অধিক সময়ের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। এমনকি তিনি সেই সাজাভোগও করেননি। ফলে কেবল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, পরের নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না তারা। তাদের সঙ্গে এবার যোগ হলেন ডা. জোবাইদা রহমানও।
এদিকে জোবাইদা রহমান যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাহলে তাকে আত্মসমর্পণ করে উচ্চ আদালতে আপিল করতে হবে। উচ্চ আদালত যদি তার দ্বন্দ্ব স্থগিত করেন তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।