এবার কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ঠিক নিজের ছন্দটা খুঁজে পাচ্ছিলেন না লিটন দাস। এবার এই বাংলাদেশি ওপেনার রান তো পেলেনই, তার পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস সারে জাগুয়ার্সকেও বড় জয় এনে দিয়েছে। প্রথমে প্রতিপক্ষ ব্রাম্পটন উলভস লিটনদের সামনে ১২৮ রানের ছোট পুঁজি দাঁড় করায়। যদিও তার সামনেও খেই হারায় টেবিলের দুই নম্বরে থাকা সারে।
পরে সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন লিটন, এতে ১১ বল হাতে রেখেই তারা ৬ উইকেটের জয় পায়। গতকাল মঙ্গলবার অনেকটা মন্থর উইকেটে ব্রাম্পটনের সিএএ সেন্টারে খেলতে নামে দুদল। ফলে ব্যাটিংয়ের জন্য ক্রিজটা এতটা সহজ ছিল না। নিউজিল্যান্ডের কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ৩৪ বলে।
এছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে আরও কয়েকজন ব্যাটার পৌঁছাতে পারলেও, সেসব ইনিংস ঠিক টি-টোয়েন্টিসুলভ ছিল না। ফলে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক ব্রাম্পটন মাত্র ১২৯ রান সংগ্রহ করে। সারের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আম্মার খালিদ, ম্যাথু ফোর্ড এবং আয়ান খান। ইফতিখার আহমেদ ও স্পেন্সার জনসন একটি করে উইকেট নেন।
এর জবাবে রান তাড়ায় শুরু থেকেই দারুণ চাপে পড়ে যায় সারে। পঞ্চম ওভারে ২১ রান তুলতেই তারা টপ অর্ডার তিন ব্যাটারকে হারায়। ফলে সেই চাপটা পড়ে লিটনের ওপর। তাই তো রানের খাতা খুলতে কিছুটা সময় নিয়েছেন তিনি, ষষ্ঠ বলে পান প্রথম রানের দেখা। এরপর ধীরে ধীরে নিজের চেনা রূপে মেলে ধরেন ক্লাসিক এই টাইগার ব্যাটার।
পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতিখারকে সঙ্গে নিয়ে লিটন ৯৯ রানের জুটি গড়েন। ষষ্ঠ ওভারে ক্রিস গ্রিনের প্রথম চার বল ডট খেলার পর পঞ্চম বলে স্লগ সুইপে ছক্কা মারেন লিটন। নবম ওভারে মিড উইকেট দিয়ে আরেকটি ছক্কা মারেন পাকিস্তানি পেসার হুসাইন তালাতকে। এভাবে তিনটি করে চার-ছক্কায় ৪৫ বলে তিনি ৫৯ রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া ইফতিখার অপরাজিত ছিলেন ৪১ বলে ৩৮ রানে, খেলেছেন ২ ছক্কা ও একটি চারের বাউন্ডারি।
জয় থেকে ৯ রান দূরে থাকাবস্থায় বিদায় নেন লিটন। তবে তখনও হাতে ছিল ১৬ বল, ফলে নিরাপদ অবস্থানেই ছিল সারে। পরবর্তীতে ১১ বল হাতে রেখেই দলটি বড় জয় তুলে নেয়। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে আছে সারে। ৭ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পাওয়া সাকিব আল হাসানের মন্ট্রিয়েল টাইগারসের অবস্থান শীর্ষে।