ডেসটিনি-২০০০ এর পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন ফখরুদ্দিন আহমেদ এফসিএ। বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন।
সোমবার (৩১ জুলাই) ডেসটিনির পরিচালনা বোর্ডের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ডেসটিনির পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা সর্বসম্মতিতে ফখরুদ্দিন আহমেদ এফসিএকে বোর্ডের চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে লিখিতভাবে বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়। গত ২৫ জুলাই হাইকোর্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ এফসিএকে ডেসটিনির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৪ জুন ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ব্যারিস্টার মারগুব কবির। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা হাইকোর্টে পদত্যাগপত্র জমা দেন। দুজনের পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, আদালতের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে তারা এই কোম্পানির পরিচালনার দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন। তবে পারিবারিক কারণে এখন দায়িত্ব পালনে তারা অপারগ।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে ডেসটিনি-২০০০ এর পরিচালনায় বোর্ড পুনর্গঠন করে করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের করা বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, সাবেক জেলা জজ হাসান শহীদ ফেরদৌস, ব্যারিস্টার মারগুব কবির, ফখরুদ্দিন আহমেদ এফসিএ, ইকবাল জামান।
এর আগে ২০১২ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত এজিএম করার জন্য ১৬ জন আদালতে আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন এবং বোর্ড পুনর্গঠন করেছেন।
হাইকোর্টে আবেদনকারীরা হলেন, ডেসটিনির পরিচালক বিপ্লব বিকাশ শীল, মোহম্মদ জাকির হোসেন, মো. শাহিনুর হাওলাদার শাহীন, সাইফুল আলম রতন, জিএম গোলাম রাব্বানী, শামনুন এহসান শামীম, মাসুদা ইসমত আরা, জাহাঙ্গীর আলম, মহিউদ্দিন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম, খায়রুন নেসা, সৈয়দ মোহাম্মদ ইকবাল, শাহজাদা আল মাহমুদ, হোসাইন আজাদ, কামরুল হাসান ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।
২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন পায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড। কোম্পানিটির মোট শেয়ারহোল্ডার রয়েছে ৪৯ জন।