এবার বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাবের লোভনীয় প্রস্তাব ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি জমানোর পর আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি জানিয়েছিলেন, মায়ামিতে তার নাম লেখানোর পেছনে অন্যতম কারণ ডেভিড বেকহ্যাম। মেসিকে মেজর লিগ সকারে নিয়ে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় হাত যে ছিল বেকহ্যামের তা জানতে আর বাকি নেই।
তবে এবার জানা গেলো মেসিকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এক-দু বছর নয়, গত দশ বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেকহ্যাম। খবর দ্য অ্যাথলেটিকের। ১০ বছর আগের এক নৈশভোজ থেকে শুরু করে বার্সেলোনায় গোপন বৈঠক। মেসিকে মায়ামিতে সই করানোর জন্য কি না করেছেন ডেভিড বেকহ্যাম।
মায়ামির জার্সিতে মেসিকে কেমন দেখাবে তার ছবিও আগে থেকেই মেসির বাবাকে দেখিয়েছিলেন তিনি। একদিন ভোরে স্ত্রী ভিক্টোরিয়ার ফোনে বেকহ্যাম নিশ্চিত হন মেসি আসছেন আমেরিকায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বেকহ্যাম নিজেই জানিয়েছেন সেই গল্প।
এদিকে ডেভিড বেকহ্যাম বলেন, ১০ বছর আগে মেসির বাবা হোর্হের সঙ্গে একটা নৈশভোজে দেখা হয়েছিল। তখনই তাকে বলেছিলাম, মেসিকে এক দিন আমাদের ক্লাবে সই করাবো। সেই সময়েই হোর্হেকে আমাদের পরিকল্পনার কথা বলেছিলাম। এমনকি মায়ামির জার্সিতে মেসিকে কেমন লাগবে সেই ছবিও দেখিয়েছিলাম। সেই থেকে শুরু।
এরপর নানাভাবে মেসিকে মায়ামিতে আনার প্রস্তাব দেন বেকহ্যাম। ২০১৯ সালে বার্সেলোনায় একটি গোপন বৈঠকে কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়ে যায়। বেকহ্যামের ভাষ্যমতে, একটা বিমানে লন্ডন থেকে গোপনে বার্সেলোনা গিয়েছিলেন তারা। সেখানে একটা হোটেলে মেসির বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু ততোদিনে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে মেসির যোগ দেয়ার বিষয়টি প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। তাই তখন হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছিল বেকহ্যামকে।
গত মৌসুমে মেসি যখন আর পিএসজি-তে থাকবেন না বলে ঠিক করে নিয়েছিলেন তখন তৃতীয়বারের জন্য মাঠে নামেন বেকহ্যাম। এবারে আর খালি হাতে ফিরতে হয়নি তাকে। স্ত্রী ভিক্টোরিয়ার এক ফোন কলেই সুখবরটা পান এই ইংলিশ ফুটবলার।
তিনি আরও বলেন, মেসি যখন পিএসজি-তে থাকতে চাইছে না তখন আমরা আবার প্রস্তাব দিই। কথাবার্তা প্রায় পাকা ছিল। শুধু ঘোষণা হচ্ছিলো না। আমি জাপানে ছিলাম। এক দিন ভোর ৫টায় আমার স্ত্রী ফোন করে বলে যে মেসি জানিয়ে দিয়েছে সে মায়ামিতে আসছে। সেটা আমার কাছে সব থেকে খুশির খবর ছিল।
এদিকে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার পর এখন পর্যন্ত দু’টি ম্যাচ খেলে তিনটি গোল করেছেন মেসি। লিও যোগ দেয়ার আগে লিগে সবার শেষে থাকা মায়ামি এখন মেসির পায়েই লিগে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছে। আর উন্মাদনা বাড়ছে আমেরিকান ফুটবলে।