রাজধানীর ধোলাইখালে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আটক নয়, বরং হামলা থেকে নিরাপদ রাখার জন্য হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুলাই) ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবি প্রধান জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছিল তখন ধাওয়া খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পরে তাকে সেভ করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
মোহাম্মদ হারুন আরও বলেন, ‘আমরা আগে থেকে আঁচ করছিলাম- তারা কোনো একসময় অরাজকতা সৃষ্টি করবে। তারা প্রতিবারই প্রোগ্রাম করার আগে অনুমতি গ্রহণ করে। তাদের অনুমতি দেওয়াও হয়। অথচ ঢাকার চারপাশ বন্ধ করে তারা যে সমাবেশে বসে পড়ার কর্মসূচি নিয়েছিল। কিন্তু কর্মসূচির অনুমতি নেই বলেও মিডিয়া মাধ্যমে জানিয়েছিলেন ডিএমপি কমিশনার।’
‘তারা অনুমতি না পেয়েও পুলিশের গায়ে আঘাত করেছে, আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছে। অবশ্য আমাদের কাছে আগে থেকে এমন একটা গোয়েন্দা তথ্য ছিল। সেকারণে আমরাও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছিলাম। এর মধ্যেও তারা ইটপাটকেল ছুঁড়ে পুলিশকে আহত করেছে’, যোগ করেন ডিবি প্রধান।
তিনি আরও বলেন, এ পরিস্থিতিতে আমরা বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সেফ করার জন্য ডিবিতে নিয়ে আসছি। তিনি নেতাকর্মীদের হামলার মধ্যে পড়েছিলেন। নেতাকর্মীরা ঢিল মারছিল। আমরা তাকে সেফ করে নিয়ে আসার পর এখন আবার আমাদের গাড়িতে করেই তার বাসায় পৌঁছে দিচ্ছি। তারা আজকে ন্যাক্কারজনক কাজ ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হবে। যারা যারা এ ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।