মানুষের জীবনে প্রেম কখন আসে বলা যায় না। তবে প্রতিটি মানুষই জীবনে একবার হলেও প্রেমে পড়ে। প্রেমের কাছে বয়স, জাতি, ধর্ম কোনও কিছুই বাধা হতে পারে না। এমন উদাহরণ অজস্র। কিন্তু ব্যাতিক্তম এক প্রেমের গল্প যা আপনি শুনলে অবাগ হবেন। হয়তো এমনটা কখনো এর আগে হয়নি।
রাস্তায় নিজের মতো করে হাঁটছিলেন এক তরুণী। হাতে ছিল মোবাইল ফোন ও কাঁধে ব্যাগ। হঠাৎ করেই এক ব্যক্তি হাতে থাকা ফোনটি নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আর চোখের সামনে নিজের শখের ফোন এভাবে চুরি হতে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না ওই তরুণীর।
ঘটনা এখানেই শেষ হলে হতে পারতো। কিন্তু না, হয়তো শুরুতেই কিছুটা আভাস পেয়েছেন এক ব্যতিক্রম প্রেমের। ফোন চুরি করা তরুণ বাসায় ফিরে ফোন বের করে অবাক হয়ে যান। ফোনে তরুণীর ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। বলা হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান তরুণী এমানুয়েলার কথা। ফোন চুরি করা ব্যক্তির ভাষ্যমতে- এমন সুন্দরী মেয়ে সচরাচর দেখা যায় না। তারপর ফোন চুরির এই ঘটনা মোড় নিতে থাকে ভিন্ন দিকে। সুন্দরী এমানুয়েলাকে খুঁজতে থাকেন ওই ব্যক্তি।
একদিন হঠাৎ করেই তরুণী এমানুয়েলার দেখা পান ওই চোর। এরপর ভালো লাগা থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক হয়। অর্থাৎ, ফোন চুরি থেকে হৃদয় চুরি! তারপর দুই বছর বেশ প্রেম করেন তারা। আর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে তাদের।
সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই প্রেম ও বিয়ে নিয়ে ওই তরুণকে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। জবাবে ফোন চুরি করা তরুণ বলেন, আমি যখন ফোন চুরি করেছিলাম তখন নিজেকে নিজেই বলতে লাগলাম, কী সুন্দরী এক নারী। এমন সুন্দরী নারী তো সচরাচর দেখা যায় না। তারপর আমার মনে পরিবর্তন আসতে থাকে তরুণের এ জবাবে মিল্টন নিভস নামের সাংবাদিক হাসতে হাসতে বলেন, তাহলে তো আপনি ফোন চুরির সঙ্গে তার হৃদয়ও চুরি করেছেন। তখন জবাবে তরুণ বলেন, ‘আসলেই তাই।’