ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও পাঁচজনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান রিমান্ডের এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- সোয়াইব মোল্যা, বায়েজিদ মোল্যা, মো. সাব মিয়া, মো. হুমায়ুন কবির ওরফে প্রিন্স ও মো. সাইফুল ইসলাম সজল।
গত রোববার (২৩ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। সোমবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ চন্দ্র সরকার।
আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন একই আদালত।
কারাগারে যাওয়া দুজন হলেন- আল আমিন ও মানিক গাজী। গত ২০ জুলাই তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় গত ১৮ জুলাই তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটিতে এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
বাদী এজাহারে অভিযোগ করেন, গত ১৭ জুলাই সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্রে পরিদর্শন করতে থাকেন। পরে তিনি বিকেল সাড়ে ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। তারপর প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫/৬ সহযোগীসহ তিনি বেরিয়ে আসার সময় অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশে তাকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। মারধরের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতনামা একজন হত্যার উদ্দেশে তার কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে আরেকজন এসে তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।
বাদী এজাহারে আরও অভিযোগ করেন, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ও টানাহেঁচড়া করেন। এ সময় তার ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধর করে জখম করেন আসামিরা।