, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


হারানো টাকা ফেরত দিয়ে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ৪ দিনমজুর

  • আপলোড সময় : ১৯-০৭-২০২৩ ০৫:৩০:০৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৭-২০২৩ ০৫:৩০:০৮ অপরাহ্ন
হারানো টাকা ফেরত দিয়ে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ৪ দিনমজুর
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) থেকে: হারানো টাকা কুড়িয়ে পেয়ে তা এর প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিয়ে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ৪ দিনমজুর। এরা হলেন, উল্লাপাড়া উপজেলার বাহিমান গ্রামের আশরাফুল আলম, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল হালিম ও ওয়ারেছ আলী। এরা নিজ গ্রামের (বাহিমান) কবরস্থানে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে রাস্তা সংলগ্ন ওয়ালের পাশে ৯৬ হাজার টাকা পান। পরে উল্লিখিত টাকা এর প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

উল্লাপাড়ার জনতার হাটের ইজারাদারদের একজন আব্দুস সালামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, গত ২৪ জুন  তারিখে ঈদের আগে জনতার গরুর হাটে গরু বিক্রি করতে এসে ৯৬ হাজার টাকা হারিয়ে ফেলেন পার্শ্ববর্তী পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতকান্দি গ্রামের মিজানুর রহমান  ফকির। তিনি ওই দিন দুটি গরু বিক্রির জন্য ওই হাটে এনে একটি গরু ৯৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ওই টাকাটি লুঙ্গির কোমরের দিকে ভাঁজ দিয়ে (ট্যারে)  রেখে আরেকটি গরু বিক্রির জন্য হাটের পাশে অবস্থিত বাহিমান কবরস্থানের দেয়ালের  উপর বসে ছিলেন। পরে দেয়াল থেকে নেমে হাটে ঢুকে যান তিনি। এদিকে লুঙ্গির  ভাঁজ থেকে ওই টাকাটি তার অজান্তে কবরস্থানের ভেতরে ওযালের পাশের জঙ্গলের মধ্যে পড়ে যায়। মিজানুর রহমান তার টাকা হারানোর বিষয়টি ওই দিন জনতার হাটের ইজারাদারগণের অন্যতম আশরাফুল ইসলামের কাছে বলে যান। 

এদিকে ১৮ জুলাই মঙ্গলবার বাহিমান কবরস্থানের সভাপতি শাহাদত হোসেন কবরস্থান  পরিষ্কার করার জন্য উল্লিখিত ৪ দিন মজুরকে নিয়োগ করেন। এরা জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় ওই ৯৬ হাজার টাকার বান্ডিল পেয়ে শাহাদত হোসেনের কাছে জমা দেন। 
শাহাদত বিষয়টি জনতা হাটের ইজারাদারদেরকে জানান। বুধবার (১৯ জুলাই) হারানো টাকার মালিক উপজেলার বেতকান্দি গ্রামের নামদার আলী ফকিরের ছেলে মিজানুর  রহমান ফকিরকে অবহিত করা হয়। পরে মিজানুরের দেওয়া টাকার নোটগুলোর বিবরণ  মিলে যাওয়ায় জনতা হাটের ইজারাদার আশরাফুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, শিক্ষক  হাবিবুল ইসলাম ও অন্যরা মিলে মিজানুরের হাতে ৯৬ হাজার টাকা তুলে দেন। এ সময় মিজানুর খুশি হয়ে উল্লিখিত ৪ দিন মজুরকে ১৭ হাজার টাকা ও কবরস্থানের  উন্নয়নে ৫ হাজার টাকা দান করেন। 

চার দিনমজুরের মধ্যে আশরাফুল আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, কবরস্থান পরিষ্কার করার সময় একটি টাকার বান্ডিল পেয়েছিলেন। পাবার পর তারা ৪ জন মিলে উল্লিখিত ৯৬ হাজার টাকা কবরস্থান কমিটির সভাপতির নিকট হস্তান্তর করেন। এত টাকা পেয়ে কেন ফেরত দিলেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমরা সবাই গরিব দিনমজুর। এই টাকা অন্যের। আমাদের নয়। তাহলে কেন এ টাকা নিব? তাই ফেরত দিয়েছি।

টাকা পেয়ে মিজানুর রহমান ফকির জানান, তিনি হারানো টাকা ফিরে পাবেন এ  আশা ছিল না তার। এবার টাকা পেয়ে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। এখনও সৎ মানুষ  দেশে আছে এটা তার কাছে আবারও প্রমাণিত হলো বলে উল্লেখ করেন এই ব্যবসায়ী।
এখনই নিষিদ্ধ নয়, তবে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে আ.লীগ: নাহিদ

এখনই নিষিদ্ধ নয়, তবে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে আ.লীগ: নাহিদ