এবার বগুড়ার হায়দার আলী (৪৭) হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরও ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার উপার্জনেই চলে তিন সদস্যের সংসার। মাত্র চার দিন আগে জমানো টাকা ও জমি বিক্রি করে নতুন ইজিবাইক কেনেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের সাতমাথায় প্রবেশ করায় হায়দারের ইজিবাইকের সিট খুলে জব্দ করে ট্রাফিক পুলিশ।
পরে শহরের গোহাইল রোডে ইজিবাইক রেখে তিনি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে যান সিট ছাড়িয়ে নিতে। অনেক কাকুতি-মিনতি করেও সিট না পেয়ে হায়দার ফিরে এসে দেখেন, ইজিবাইক নেই। পরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও ইজিবাইকটি পাননি। জীবিকার একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে হায়দার বলছিলেন, ‘সব শেষ হয়ে গেল।’
এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হায়দার বগুড়া সদর উপজেলার বেলাইল গ্রামের প্রয়াত জুরান আলী আকন্দের ছেলে। হায়দার আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক বছর আগেও শহরের তিনমাথা এলাকায় চা বিক্রি করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। মহাসড়কে চার লেনের কাজ শুরু হওয়ায় তার দোকান ভাঙা পড়ে। চার দিন আগেই দেড় লাখ টাকায় একটি ইজিবাইক কেনেন।
হায়দার দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। তাই ভারী কাজ করতে পারেন না। কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, একমাত্র আল্লাহই জানেন তার কী হবে। ভেবেছিলেন সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করবেন। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল। এ বিষয়ে বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির (পরিদর্শক) সুজন মিঞা জানান, ইজিবাইক চুরির ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে ও ইজিবাইক উদ্ধারে কাজ চলছে।