, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ক্যান্সার-বন্ধ্যাত্বসহ নারী স্বাস্থ্যে বিপ্লব ঘটাবে ‘এআই’

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৩ ১১:১৫:১৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৩ ১১:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
ক্যান্সার-বন্ধ্যাত্বসহ নারী স্বাস্থ্যে বিপ্লব ঘটাবে ‘এআই’
ক্যান্সার নির্ণয়, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসাসহ নারী স্বাস্থ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) বিপ্লব ঘটাবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রযুক্তির দিক থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই এবং পিছিয়ে থাকবেও না। স্মার্ট হেলথ সিস্টেমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের বিরাট অবদান রয়েছে।

বুধবার (৩ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও স্মার্ট স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকল্পে নারী স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই ইন ওমেন্স হেলথ : দি ইমার্জিং নিউ ফেস অব হেলথকেয়ার) শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির বিকাশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বিশেষ অবদান রাখছে। যেমন- নারী স্বাস্থ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। ক্যান্সার চিকিৎসা, ক্যান্সার নির্ণয়, ক্যান্সার প্রোগনোসিস, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা, প্রসবকালীন শিশু স্বাস্থ্যের সার্বিক অবস্থা নির্ণয় ছাড়াও হৃদরোগ, অন্ত্রে এবং খাদ্যনালির জটিলতা নিরসনে এর ভূমিকা অপরিসীম।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে স্মার্ট হেলথ সিস্টেম বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মুখ্য ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ডাটা সংরক্ষণ ও ডকুমেন্টেশন তৈরি ও রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। স্বাস্থ্য সেবাখাতে প্রযুক্তির বিকাশ ও কল্যাণকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। রোবটিক সার্জারিসহ আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলেজেন্সের যে সকল ব্যবহারিক উপযোগিতা যেখানে যেখানে রয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

উপাচার্য আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভার্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকনোমি এই চারটি পিলারের ওপর প্রতিষ্ঠিত হলো স্মার্ট বাংলাদেশ।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা গেলে সময় ও অর্থ ব্যয় সাশ্রয় হবে। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। রোগীর জন্য যেটা সর্বোত্তম সেই পদ্ধতিই ব্যবহার করতে হবে।

তারা বলেন, ভালো চিকিৎসক হওয়ার বিকল্প নেই। তবে প্রয়োজনীয় নিত্যনতুন প্রযুক্তির বিষয়ে জানা থাকতে হবে। প্রযুক্তির সুবিধাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সমৃদ্ধির ও কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। যদি ইনপুট ভালো দেওয়া যায় এর ফলও ভালো পাওয়া যাবে। আবার প্রযুক্তি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না সেটা মানুষকে বা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদেরই দেখতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মো. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস। কারিগরি ও ব্যবহারিক দিক নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন যুক্তরাজ্যের বেইজ হেলথ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং হুইটিংটন হসপিটাল এনএইচএসর কনসালটেন্ট (ওমেন্স হেলথ) ডা. আশফাক এম খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম। সেমিনারে শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেনট ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’