আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সিরাজগঞ্জর জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখার অস্থায়ী পিয়ন কাম পরিছনকর্মী আওলাদ হোসেন আকন্দ রঞ্জু পুলিশের কাছে প্রতারণা করা গ্রাহকদের একাউন্টের লক্ষ লক্ষ টাকা লুটের দায় স্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিঊক শাহজাদপুর থানা কার্যালয় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যকালে শাহজাদপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, গত ৬ জুলাই বহস্পতিবার সকালে জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখার গ্রাহক আবু হানিফ তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য চেক জমা দেয়ার পর জানতে পারেন তার একাউন্টে কোন টাকা নেই।
অথচ গত ২ জুন তিনি এ ব্যাংকের পিয়ন আওলাদ হোসেন আকন্দ রঞ্জুর মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা তার একাউন্টে জমা করেছেন। এরপর থেকে রঞ্জু আত্মগাপন করে। এ খবর জানাজানি হলে অনেক গ্রাহক ব্যাংক এসে তাদের একাউন্ট চেক করে একাউন্টে টাকা না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন। ফলে এ ঘটনায় জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখার ম্যানেজার শাহজাদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
এরপর ম্যানেজার জানতে পারেন, পিয়ন আওলাদ হোসেন আকন্দ রঞ্জু দৈনন্দিন ব্যাংকিং কার্যাবলীর অগাচরে ব্যাংকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে গ্রাহকদের সাথে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ২৫ জন গ্রাহকের প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা লুট করেছেন ।
এ ঘটনায় ম্যানেজার জেহাদুল ইসলাম বাদী হয় গত শুক্রবার শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি দল ওই রাতেই গোপালগঞ্জ সদর থানার পূর্ব মিয়াপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পিয়ন রঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ২ হাজার ৪২০ টাকা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, এরপর তাকে থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে কৌশলে টাকা লুটের বিষয় স্বীকার করে।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শাহজাদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান, পুলিশ পরির্দশক (অপারেশন) আবু সাঈদ, এসআই গোপাল চদ্র মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।