আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে হারের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। সিরিজ হারানোর পর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। একাদশে ফেরা শরীফুলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১২৬ রানে থেমেছে আফগানদের ইনিংস। চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাটে নামে আফগানিস্তান।
পেস ও স্পিনারদের দাপুটে বোলিংয়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৫.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৬ রানে থেমেছে সফরকারীদের ইনিংস। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে স্বাগতিকদের প্রয়োজন ১২৭ রান। ৯ ওভার বল করে ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বল করেছেন শরীফুল। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮ ওভার বল করে ৩৪ রান খরচায় ৪ উইকেট ছিল টাইগার পেসারের সর্বোচ্চ অর্জন।
ব্যাটে নেমে শুরুতেই শরীফুলের তোপে পড়েন আফগান ব্যাটাররা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ৩ রানে তুলে নেন দুই উইকেট। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ফেরান ৬ বলে ১ রান করা ইব্রাহিম জাদরানকে। পঞ্চম বলে ফেরান তিনে নামা রহমত শাহকে। টপ এজে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শূন্য হাতে।
ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে আঘাত হানেন আরেক পেসার তাসকিন। ১৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় সফরকারী দল। মুশফিকরে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন গুরবাজ। নবম ওভারেরে দ্বিতীয় বলে দলীয় ১৫ রানে মোহাম্মদ নবীকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান শরিফুল। ৯ বলে ১ রান করে আফগান অলরাউন্ডার ফেরেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
দুই পেসারে দাপুটে বোলিংয়ের পর আফগান ব্যাটিংয়ে পঞ্চম আঘাত হানেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৩২ রানে এলবিডব্লিউর শিকার বানিয়ে ফেরান নজিবুল্লাহ জাদরানকে। ২২ বলে ১০ রান করেন তিনি।
উইকেট তোলার জুটিতে যোগ দিয়ে আফগানদের ষষ্ঠ ব্যাটারকে ফেরান বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ২২তম ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড করেন হাসমাতুল্লাহ শাহিদীকে। আফগান অধিনায়ক ফেরেন ৫৪ বলে ২২ রান করে।
২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে নিজের চতুর্থ শিকারের দেখা পান শরীফুল। দলীয় ৬৮ রানে আব্দুল রহমানকে ফেরান তাইজুলের ক্যাচ বানিয়ে। ২০ বলে ৪ রান করেন তিনি। ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৮৯ রানে আফগানদের সপ্তম উইকেট তুলে নেন তাইজুল। ৩০ বলে ৫ রান করা জিয়া-উর-রেহমানকে ফেরান সরাসরি বোল্ড করে।
পরে মুজিব উর রহমানকে নিয়ে দলীয় শতরান পার করেন আজমাতুল্লাহ উমরজাই। আফগানদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে ৪৪তম ওভারের শেষ বলে ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ফিফটি স্পর্শ করেন উমরজাই। ৪৫তম ওভারের শেষ বলে ১২৫ মুজিবকে ফেরান মিরাজ। ডিপ উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আফিফের তালুবন্দী হন আফগান স্পিনার। ৩৪ বলে ১১ রান করেন তিনি।