আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রধানত নির্বাচন নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’ তবে বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা সংসদ বিলুপ্তির বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানান।
সোমবার (১০ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্যের নির্বাচনি অনুসন্ধানী মিশন রবিবার (৯ জুলাই) ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত দুই সপ্তাহের সফরে ইইউ প্রতিনিধি দলটি সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো, নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবে।
জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানে ঘণ্টাখানেকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে। তাছাড়া আগামী নির্বাচন যে সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে, সেটি আবারও তাদের জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে পর্যবেক্ষক আসবেন, পর্যবেক্ষণ করবেন। ভিয়েনা কনভেনশন নীতিমালা অনুযায়ী তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আওয়ামী লীগ তাদের স্বাগত জানাবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা সংসদ বিলুপ্তিসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার থাকবে। এই সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে এবং নির্বাচনে সহায়তা করবে।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বৈঠকের পর বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওয়েট অ্যান্ড সি। অনেক কিছুই জানতে পারবেন।’
এদিকে বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘বাংলাদেশে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইইউ। এ দেশের নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আগ্রহ আছে। সে জন্য ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছে। নির্বাচন নিয়ে দলটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করবে।’