, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


প্রভাষক স্ত্রী হাজিরা খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর করছেন স্বামী

  • আপলোড সময় : ০৮-০৭-২০২৩ ১১:৪৫:১১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৭-২০২৩ ১১:৪৫:১১ পূর্বাহ্ন
প্রভাষক স্ত্রী হাজিরা খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর করছেন স্বামী
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শিক্ষকদের অবহেলায় 
দিনের পর দিন মুখ থুবরে পড়ছে শিক্ষা শিক্ষা ব্যবস্থা। কিছু সংখ্যক শিক্ষকদের অবহেলায় আর অনিয়মের কারনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে এতে ভেঙ্গে পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। মাসের পর মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না হয়েও সকল সুবিধা ভোগ করে আসছেন কিছু শিক্ষক।
 
 তবে এত প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়মের ধারা অব্যাহত থাকলেও উর্ধতন কর্মকর্তাদের নেই কোন তদারকি অজ্ঞাত কোন কারণে নিরব থাকছে এ নিয়ে প্রশ্ন জনমনে। চিলমারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের (গার্হস্থ্য অর্থনীতি) বিভাগের প্রভাষক মোছাঃ জিনাত আরা এই শিক্ষিকা মাসের পর মাস কলেজে উপস্থিত না থেকেও সকল সুবিধা ও বেতন ভাতা উত্তোলন করেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
 
এমনকি জিন্নাত আরা নিজে না এসে স্বামীকে পাঠিয়ে হাজিরা খাতায় কয়েক মাসের সাক্ষর করেছেন বলেও অভিযোগ কলজের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মচারীদের। বিষয়টি প্রকাশ পেলে অবশেষে ৭-মে/২৩খ্রী দায় এরাতে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে একটি দরখাস্ত দিয়েছেন বললেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
 
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় প্রতিষ্ঠানে পাঠদানসহ শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছে। শিক্ষকরা সঠিক সময় ও নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে না যাওয়া, ক্লাস ফাঁকি দেয়া, প্রাইভেট ও কোচিং এ অতিরিক্ত অর্থ যোগানে সময় ব্যয়ের কারণে দিন দিন প্রতিষ্ঠানের পাঠদান যাচ্ছে রসাতলে , ভেঙ্গে পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। এমনি এক অভিযোগ উঠেছে চিলমারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের কয়েকজন শিক্ষক (প্রভাষক) এর বিরুদ্ধে।
 
অভিযোগ উঠছে কয়েক মাস থেকে কলেজে এ উপস্থিত না হয়েও প্রভাষক (গার্হস্থ্য অর্থনীতি) বিভাগের প্রভাষক মোছাঃ জিনাত আরা বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন থেকে নিয়মিত কলেজ আসেন না এবং ক্লাস না নেয়ার কারনে বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরাও। অভিযোগ উঠেছে প্রভাষক জিনাত আরা ব্যক্তিগত ইচ্ছার কারনে দীর্ঘদিন থেকে অনিয়মের মধ্যে থেকে সকল সুবিধা ভোগ করে আসলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের অফিস সহায়ক ফুলমিয়া, আসাদুজ্জামান বলছেন, অভিযুক্ত প্রভাষক (শিক্ষিকা) টানা প্রায় ৪/৫ মাস কলেজ না এসে তার স্বামীকে পাঠিয়ে প্রায় সব স্বাক্ষর একদিনে করিছেন হাজিরা খাতায়। 
 
কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি সহ-অধ্যাপক নাজমুল হুদা পারভেজ বলেন, একজন বহিরাগত লোক এসে কলেজে তার স্ত্রীর হাজিরা খাতায় স্বামী জাল সাক্ষর করলো আর তার বিরুদ্ধে ভারঃ অধ্যক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তা আমাদের বোধগম্য নয়।

গারস্থ অর্থনীতি বিভাগের আরেক শিক্ষিকা(প্রভাষক)মাছুমা আক্তার বলেন, জিনাত আরা বেশ কয়েক মাস থেকে কলেজে আসেন না এটি সত্য, তাই মাঝে মাঝে ওনার ক্লাস গুলো আমাতে নিতে হয়, তবে ওনার পরিবর্তে তার স্বামী হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছে আমি সে বিষয়টি শুনেছি তবে আমার চোখে পড়েনি। 
 
অভিযুক্ত প্রভাষক(গার্হস্থ্য অর্থনীতি)মোছাঃ জিনাত আরার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তরিঘরি করে ফোন কেটে দেন। তবে পরে জিন্নাত আরার স্বামী ফোন করে ওই সাংবাদিকের সাথে উগ্র আচরন করেন ।
 
কলেজের এমন পরিস্থিতিতে দায় সারা উত্তরে
ভারঃ অধ্যক্ষ জীতেন্দ্র নাথ বর্ম্মন বলেন, শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না এটি সত্য, তবে দ্রুত এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, কয়েকদিন আগে কলেজ সভাপতি ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ স্যার কলেজে এসেছিলেন সেদিনও বেশ কয়েকজন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় স্যার শিক্ষক হাজিরা খাতা নিয়ে গেছেন। তবে স্ত্রীর হাজিরায় স্বামীর সাক্ষরের বিষয়ে জানতে চাইলে মুখরোচক কথা বলে বিষয়টিকে এরিয়ে যান। 
সর্বশেষ সংবাদ