এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে চোখ রাঙাচ্ছিল ইনিংস পরাজয়। সেটি এড়াতে পারলেও ঘরের মাঠে ১০ উইকেটে হার এড়ানো সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চারদিনের টেস্টে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বৃষ্টিস্নাত শেষদিনে লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত পারল না বাংলার যুবারা।
এদিকে চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৪৯ রানে। জবাবে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান তোলে ৪২০ রান। যেখানে পুরো বাংলাদেশ মিলে তোলে ১৪৯ রান, শাহজাইব খান সেখানে একাই করেন ১৭৪ রান। মূলত তখনই ছিটকে পড়ে দেশের যুবারা।
এদিন ২৭১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। অধিনায়ক শাহরিয়ার সাকিব সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে। যুব টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন তিনি। ২৩৫ বলে ১৪ চারে ১০৬ রান করেন যুবাদের অধিনায়ক। অধিনায়ককে সঙ্গ দেন আশিক। আউট হওয়ার আগে ৭৯ রান করেন তিনি। এই দুজন ছাড়া বাকিরা প্রথম ইনিংসের মতোই ব্যর্থতার পরিচয় দিলে বেশি দূর যেতে পারেনি বাংলাদেশ।
এদিকে দলীয় ২৬২ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তখনও ইনিংস হার এড়াতে প্রয়োজন ৯ রান। টেলএন্ডাররা অতটুকু করলেও পাকিস্তানকে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেনি। পাকিস্তানের আলী আসফান্দ ও আরাফাত আহমেদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করে যুবারা। আসফান্দ ৪ এবং আহমেদ নেন ৩ উইকেট।
এদিন ২৯২ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ পাকিস্তানের সামনে দেয় মাত্র ২২ রানের লক্ষ্য। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬.৩ ওভারেই ২৩ রান তুলে তা টপকে যায় সফরকারী পাকিস্তানের যুবারা। একমাত্র টেস্টের হতাশা কাটিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আগামী ৬ মে মাঠে নামবে বাংলার যুবারা। প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামেই।